একমাত্র চিকিৎসা ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’: জাফরুল্লাহ

ধর্ষণের শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দিলেই চলমান আন্দোলন ‘থামবে না’ মন্তব্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনই এর সমাধানের ‘একমাত্র পথ’।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2020, 08:51 AM
Updated : 16 Oct 2020, 08:51 AM

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এমন মন্তব্য আসে।

গত নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, “হঠাৎ এই ফাঁসি দিয়ে, আজগুবি কথা দিয়ে এটা থামবে না, এই আন্দোলন-সংগ্রাম থামবে না।

“এটার একমাত্র চিকিৎসা বা একমাত্র পথ সুষ্ঠু গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন। এই রোগের চিকিৎসা জনগণের হাতে ক্ষমতা দেওয়া।”

সরকার যতদিন মধ্যবর্তী নির্বাচন না দিচ্ছে, ততদিন ‘সবাই মিলে একত্রিতভাবে’ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভয় কেন পান? একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে দেখুন না, নির্বাচনে আসুন, গণতন্ত্র ফেরত দিন...।

“আমি বলি, আপনি সামগ্রিক পরিবর্তন আনেন। একটা কমিশন করে সবাই ডাকুন। আপনি একলা কিছুই করতে পারবেন না।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক দুর্নীতির’ অভিযোগ এনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ট্রাস্টি বলেন, “সরকার চুরিতে চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেছে।”

পাশাপাশি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, “ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে দেশ চলতে পারে না।”

রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার এবং তাদের একলা চলার নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বিধান করারও দাবি জানান তিনি।

‘জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল’ নামের এক সংগঠনের উদ্যোগে নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়।

সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন হানিফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপি নেতা আনম এহছানুল হক মিলন, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, আইনজীবী রফিক শিকদার, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আরিফা সুলতানা রুমা বক্তব্য দেন।