রোববার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতি একদম নিচের দিকে যাচ্ছে, মানে ডাউন ওয়ার্ডস।”
বাকশালের সঙ্গে তুলনা করে ফখরুল বলেন, “যে অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড় করিয়ে জিয়াউর রহমান ও সাইফুর রহমান উপরে নিয়ে গিয়েছেন, সেটাকে এখন টেনে নিচের দিকে ওই রসাতলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেটা হচ্ছে আজকের সেই অনির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তাদের (আওয়ামী লীগ) লক্ষ্য একটাই, টাকাও বানাও, দুর্নীতি করো, মেগা প্রজেক্ট করো, মেগা লুট কর।”
এম সাইফুর রহমানের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই সভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার সফলতার কথা তুলে ধরেন ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমান ২০০৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে সংসদ ১২ বার বাজেট উপস্থাপন করেন।
“কিন্তু তার ভবিষ্যত দৃষ্টি ও প্রজ্ঞা-মেধা প্রমাণ করেছে, তিনি ডেসট্রয় করেননি, তিনি নির্মাণ করেছেন। তিনি পরিবর্তনের বাংলাদেশ নির্মাণ করে্ গেছেন। তিনি একটা বাসকেট কেইসকে সাকসেসে নিয়ে এসেছেন।”
সাইফুর রহমানের কর্মকাণ্ড সংরক্ষণে একটা ফাউন্ডেশন গঠনের প্রস্তাব করেন বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমার একটা অনুরোধ, সাইফুর রহমান সাহেবকে সিলেটের নেতা বানাবেন না, তিনি বাংলাদেশের নেতা এবং অর্থনীতির সফল অন্যতম নেতা বলতে পারেন। ম্যাক্রো ইকোনমিকসে এত সাকসেস কোনো অর্থমন্ত্রীর আছে কি না, আমার সন্দেহ আছে।”
সাবেক অর্থমন্ত্রীর ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সভায় বলেন, “সাইফুর রহমান সাহেব এই দেশের অর্থনীতিতে, এদেশের রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন। এটা থেকে আমাদেরকে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা নিতে হবে।”
ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুবদল নেতা কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সি্লেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর সভার চেয়ারম্যান জি কে গউছ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক এবং প্রয়াত নেতা সাইফুর রহমানের ছেলে সাবেক সাংসদ এম নাসের রহমান বক্তব্য রাখেন।