মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপির নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, “শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন এমন এক সময়ে যখন সমাজে অত্যাচারী রাজার নিষ্ঠুর অত্যাচার ও দুঃশাসন কায়েম ছিল। তিনি পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিলেন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষকে রক্ষার জন্য, তিনি অন্যায়কে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”
বাংলাদেশকে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ’ হিসেবে বর্ণনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, “এখানে সকল ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, বৈষম্য, বৈকল্য ও অন্যায়-অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে যার যার অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে অবদান রাখতে হবে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
“দেশের হিন্দুসম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করে। যে কোনো ধর্মীয় উৎসব সম্প্রদায়ের ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মিলনের বাণী শোনায়, মানব সমাজের মধ্যে এক অনন্য ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত করে।
“বিএনপি জন্মাষ্টমীর এই শুভ দিনে হিন্দু ধর্মের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে। তাদের সুখ-শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছে।”