অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে: কাদের

অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক পরিচয় কোনো অপরাধীর আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না, তা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2020, 10:42 AM
Updated : 9 August 2020, 10:42 AM

রোববার নিজের সরকারি বাসা থেকে গোপালগঞ্জ সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। জনগণের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার বোঝে বলেই যেকোনো বিষয়ে সরকার দ্রুততম সময়ে রেসপন্স করে।”

অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, “ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান, স্বাস্থ্যখাতে জেকেজি-রিজেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এবং অন্যান্য যেসব অনিয়ম হচ্ছে, সেসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য সরকারকে আগে কেউ বলে দেয়নি। কারও পরামর্শে সরকার অভিযান পরিচালনা করেনি। শেখ হাসিনা সরকার নিজেই এই সকল অনিয়ম উদঘাটন করেছে। তার ম্যাকা‌নিজম দি‌য়ে অনিয়ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেননি। স্বতপ্রণোদিত হয়েই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং এই অভিযান বিভিন্ন খাতে অব্যাহত থাকবে।”

বিএনপির সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের ‍বলেন, “আজ যারা অনিয়ম নিয়ে কথা বলছেন, তাদের সময়কালে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পাশাপাশি দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতি বিষয়ক ধারা বাতিল করে বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে নিজেদের স্বীকৃতি দিয়েছে।”

শেখ হাসিনা সরকার কোনো অপরাধীকে দলীয় পরিচয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি বরং প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সোচ্চার থেকেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা দলীয় পরিচয়েও ছাড় পায়নি। বুয়েটের আবরার, বরগুনার রিফাত শরীফ, ফেনীর নুসরাতসহ অন্যান্য ঘটনায়ও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

বিএনপি তাদের সময়কালে এমন কোনো নজির সৃষ্টি করতে পেরেছে কিনা, প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।

এর আগে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি কর্মদক্ষতা মূল্যায়ণ করা হবে।

সরকারি অর্থ ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা পালনের পাশাপাশি অপচয় রোধ করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সড়ক নির্মাণে গুণগতমান অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। কাজের মান ধরে রাখতে এবং সময়মত শেষ করতে কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকি বাড়াতে হবে।

মন্ত্রী ঈদের ফিরতি যাত্রায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন।

আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব চন্দন কুমার দে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মনির হোসেন পাঠান, গোপালগঞ্জ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেনসহ বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।