শুক্রবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ইভিএম সিস্টেম যদি ব্যবহার করা হয়, একই জায়গায় অনেক ব্যক্তি টাচ করলে এটাতে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।”
অতি সংক্রামক নভেল করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়, ছড়ায় মূলত হাঁচি-কাশি ও স্পর্শের মধ্য দিয়ে।
জনসমাগমে এ রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ে বলে সব ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠান স্থগিত করার পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এমনকি মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও কাটছাঁট করে মূলত ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার হয়েছে।
এর মধ্যেই শনিবার ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইভিএমে ভোটারের আঙুলের ছাপ মেলাতে হয় বলে অনেকেই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার কথা বলে আসছিলেন। নির্বাচন পেছানোরও দাবি ছিল কারও কারও।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এই রোগে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে একজনের।
এই অবস্থার মধ্যেও নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর বলেছিলেন, “ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকবে। ভোট দেওয়ার আগে-পরে এটা ব্যবহার করবেন। হাত ধুয়ে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে আবার হাত ধুয়ে ফেলবেন।”
সংক্রমণ এড়াতে কেবল হাত ধোয়ার ব্যবস্থা যথেষ্ট কি-না, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা অধ্যাপক নাসিমা বলেন, “এটাতো হতেই পারে। বার বার হাত ধুলে সংক্রমণটা প্রতিরোধ করা যায়।”