সে সঙ্গে নিজের ভোটকেন্দ্র গুলশানের মানারাত স্কুল এন্ড কলেজে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে না পাওয়ার ও ইভিএম নিয়ে ত্রুটির অভিযোগও করেন তিনি।
শনিবার সকালে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার কাছে মনে হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে আমরা যাচ্ছি না। ভয়ভীতি, হামলা, পরিস্থিতির ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা সকাল থেকে করা হচ্ছে।
“কিন্তু আগেই বলেছিলাম, আমাদের শক্তি হলো জনগণ, জনগণের শক্তি দিয়েই আজকে আমরা সারাদিন প্রতিকূল অবস্থার মোকাবেলা করব।”
২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে মাঝপথে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেও এবার মাঠে শেষ পর্যন্ত দেখার কথা বলেছেন তাবিথ আউয়াল।
তিনি বলেন, “আমরা হাল ছাড়ছি না, মনোবল ভাঙছি না। আমাদের মনোবল এখনো শক্ত আছে। আমরা বুঝতে পারছি আমাদের বিপক্ষ দল ভয় পেয়ে গেছে।”
নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেবেন কি না জানতে চাইলে তাবিথ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাছে এর মধ্যে সব অভিযোগ চলে যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও অভিযোগ চলে গিয়েছে। আমরা যখন যে তথ্য পাচ্ছি তা নিয়মিত পাঠাচ্ছি।
“প্রত্যেকটি এলাকাতেই নির্বাচন কমিশনের ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা। কিন্তু আমি মানারাত স্কুলে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট খুঁজে পাইনি। মেশিন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু মেশিনও এখনও ঠিক হয়নি। আমার মা যে মেশিনে ভোট দিয়েছে, সেই মেশিনটি ব্রেক ড্রাউন হয়েছে।”
সকাল সাড়ে ৮টায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ধানের শীষের প্রার্থী। তাবিথের মা নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমে কারিগরি ত্রুটির মুখে পড়েন। ত্রুটি সারিয়ে পরে নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার ভোট নেন।
ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ফারজানা শারমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্যানেলে কানেকশন লুজ ছিল। দু-তিন দফায় চেষ্টা করেছি। পরে আমরা প্যানেল চেঞ্জ করে দিয়েছি। পরে ভোট দিয়েছেন তিনি।”
পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা জানালেও ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, “আপনার ভোট দিতে আসুন। কারণ যে কোনো প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমেই আমরা জয়লাভ করব।”
ভোটের শুরুতেই তাবিথ অভিযোগ করেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড, কালা চাঁদপু্র হাইস্কুল ও বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।