‘ঢাকা সিটিতে একজন দেবে’, তা আমার বিশ্বাস হয় না: মান্না

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ের বিষয়ে বিএনপি নেতারা আশাবাদী হলেও তাদের জোট শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না তা হতে পারছেন না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2020, 01:29 PM
Updated : 17 Jan 2020, 04:37 PM

নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে নিজের হতাশার কথা বলেন তিনি।  

মান্না বলেন, “যতই চিৎকার করেন, যা- ই করেন ৩০ তারিখের ভোট কোনো ভোট নয়। ওই ভোটে ধানের শীষ জিততে পারবে না। ওরা জিততে দেবে না।

“যদি ভোট হত তাহলে নৌকারই খবর থাকত না। এখনও, আজ অবধি…কিন্তু করতে দেবে না তারা। সেজন্য সমস্ত রকম বুদ্ধি-টুদ্ধি করেছে।”

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এই যে একজন বললেন, ভোটের দিন লড়াই করবেন। কী লড়াই করবেন? কার সাথে? একটা করতে পারেন যে, মেশিনই ভেঙে ফেলতে পারেন। তাছাড়া ভোটে জেতার কোনো সম্ভাবনা নাই।

“দুইটার মধ্যে একটা দেবে? ওই ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ে আমি এ রকম কথা শুনেছিলাম অন্তত ৭০-৮০টা দেবে। শূন্য ফেলে দিয়েছে, ৭-৮টা তো দিয়েছে।

“ঢাকা সিটিতে একজন দেবেন- সেটা আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না। এখন যদি ধরেন আপনাদের কাছে কোনো বিশেষ তথ্য থাকে তা তো আমি জানি না। তাছাড়া এটা পাবার কোনো সুযোগ নাই।”

ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করে মান্না বলেন, “ইভিএম যে একটা গজব- এটা আমরা সবাই বুঝি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যে ডাকাতি হয়েছে এটা এই সরকারের এক রকম কলঙ্কের টিকা। এখন যে ভোট হচ্ছে একই কায়দায় ভোট করার কোনো সুযোগ নেই। ওইভাবে যদি ভোট করতে যেত তাহলে পুলিশকে ম্যানেজ করতে হয়, বিজিবিসহ যা যা আছে তাদের সবাইকে টাকা-পয়সা দিতে হয়, রাতের বেলা বিরিয়ানি খাওয়াতে হয়, পার্টি দিতে হয়- একদম লজ্জার ব্যাপার।

“সেজন্য একটা মেশিন বের করা হয়েছে যেটা জাদুর মেশিনই বলা যায়। এখন আপনি বলতেই পারবেন না যে, ওরা ভোট কেড়ে নিয়ে গেছে।”

ঢাকায় বিএনপির প্রার্থীদের পোস্টার সাঁটাতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমি দুইটা-তিনটা জায়গায় দেখলাম, তাদের নেতারা যারা টেলিভিশনে কথা বলেন তারা বলবেন, এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হচ্ছে, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

“ঠিকই তো। পোস্টার যে লাগানো যাচ্ছে না- এটাও বলা যাচ্ছে না। বরং বলছে পোস্টারই নেই বিএনপির। সর্বত্র নৌকার পোস্টার। একজন (ক্ষমতাসীন)  আবার বলছেন, আমি উনাদেরকে ডাকছি। পোস্টার লাগান আমি দাঁড়িয়ে পোস্টার লাগিয়ে দেব।

“ও দাঁড়িয়ে থাকবে আর পেছন দিক থেকে পুলিশ দুই-তিনজনকে তুলে নিয়ে যায়।”