ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র হিসেবে নিজের নয় মাসের দায়িত্ব পালনকে 'ওয়ার্মআপ' অভিহিত করে আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এখন তিনি ‘টেস্ট’ খেলার জন্য প্রস্তুত।
Published : 08 Jan 2020, 03:47 PM
বুধবার বনানীতে জাতীয় মৎস্যজীবী লীগের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী।
সিটি করপোরেশনের মেয়রদের মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও আনিসুল হকের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আতিককে এক বছরের কম সময়ে দায়িত্ব পালন শেষ করতে হয়।
নতুন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণে প্রার্থী বদলালেও উত্তরে ব্যবসায়ী নেতা আতিককেই প্রার্থী রেখেছে।
মতবিনিময় সভায় আতিক বলেন, “আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি গত নয় মাসে আমি যে কাজ করেছি সেই কাজ করতে করতে আরেকটি নির্বাচন চলে এসেছে।
“আমি মনে করি, যে এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করেছি, সেটা ছিল আমার জন্য ওয়ার্মআপ। খেলার আগে অনুশীলন লাগে। নয় মাস আমি কঠিন অনুশীলন করেছি। সেই ওয়ার্মআপ আমি আগামী ৫ বছর কাজে লাগাব। আমি এখন ৫ বছরের টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত।”
নিজের কর্মজীবনে কোনো দায়িত্বে অবহেলা দেখাননি বলে দাবি করেন আতিক।
“মেয়র হওয়ার আগে বিজিএমইএর সভাপতি ছিলাম। আল্লাহর রহমতে কোথাও বদনাম কুড়াইনি,পুরো গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুনাম নিয়ে এসেছি।”
সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেওয়ার পরও অনেক চ্যালেঞ্জ সামলানোর কথা বলেন তিনি।
“দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আবরার মারা যাওয়ার পর ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড, গুলশান মার্কেট অগ্নিকাণ্ড হয়।”
ডেঙ্গুকে সবচেয়ে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে তুলে ধরে আতিক বলেন, “আমি বলেছিলাম চাঁন রাতে ডেঙ্গু নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। ডেঙ্গু নিয়ে ৩৬৫ দিন কাজ করতে হবে। মশার ওষুধ আনার যে সিন্ডিকেট ছিল তা ভেঙে দিতে পেরেছি।”
ডিএনসিসি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আতিক।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্করসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।