বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন না আসায় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়।
তখন থেকে জামিন আবেদনের শুনানি এগিয়ে আনার দাবিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রায় তিন ঘণ্টা আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে অবস্থান নিয়ে তুমুল হট্টগোল করেন।
এর মধ্যেই দলের আইনজীবীদের মাঝে ‘ক্যান্ডি’ বিতরণ করেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এদিকে ইঙ্গিত করে নাসিম বলেন, “বিএনপির আইনজীবীরা চকলেট মুখে দিয়ে আদালতে আসেন তাদের আপাকে মুক্ত করতে। খালেদা জিয়া এখন চকলেট আপায় পরিণত হয়েছেন।
“সপ্তাহ, মাস, বছর চলে যায় কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে পারে না, তাদের বিষ খাওয়া উচিত। আইনজীবীদের চকলেট মুখে না দিয়ে বিষ মুখে দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত।”
সভায় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, “হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাংলাকে ভাগ করতে দেয়নি। তার আদর্শে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে গড়তে দেয়নি, জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। এখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সোহরাওয়ার্দীকে স্মরণ করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলা যাচ্ছে।”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, সোহরাওয়ার্দীর উত্তরসূরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। সোহরাওয়ার্দী যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন আরও সহজ হতো। তার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে আরও এগিয়ে নিতেন।
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা বক্তব্য দেন।