শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী খসরু বলেন, “বাংলাদেশে কোনো মুক্তবাজার অর্থনীতি এখন চলছে না। মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে একটা আওয়ামী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
“এই যে পেঁয়াজের দাম বলেন, লবণের দাম বলেন, যত কিছুর দাম বলেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে- এটা হচ্ছে আওয়ামী অর্থনীতির প্রতিফলন। আপনি সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে দলীয়করণ করেছেন লোকজন দিয়ে, তারাই তো আজকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করবে কে? এদেরকে যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন আপনি কীভাবে দ্র্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করবেন?”
সরকার অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা বললেও গত ১০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের প্রকৃত আয় ও ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে বলে দাবি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আজ থেকে ১০ বছর আগে মানুষের যে ক্ষয়ক্ষমতা ছিল, যে প্রকৃত আয় ছিল তা কমে গেছে। তার উপরে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি সেটা মানুষের বিশেষ করে গরিব-নিম্নবিত্ত মানুষের প্রকৃত আয়কে আরও কমিয়ে দিচ্ছে।
“মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারছে না, সংবাদপত্র লিখতে পারছে না। একটা ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে তারা দেশটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্বে দলের ভেতরে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এতে দল অনেক অনেক শক্তিশালী হয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কমিটি গঠন, এটা বিএনপির মধ্যে সব সময় ছিল, এটাকে এখন আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য একেবারে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচন একেবারে নিয়ম মাফিক যে কাজটা হচ্ছে- আমি মনে করি, এটা দেশের রাজনীতিতে, গণতান্ত্রিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে।”
উদাহরণ দিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, “ছাত্রদলের মধ্যে সমস্যা ছিল। নির্বাচিত কমিটি হওয়ার কারণে দেখতে পারছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে সক্ষম হয়েছে, কীভাবে তাদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
“এই কাজটি (নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি) বিএনপিসহ প্রত্যেকটা অঙ্গ সংগঠনে করার জন্য তারেক রহমান সাহেব আজকে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, প্রতিদিন ঢাকাসহ সারা দেশে ৮-১০ ঘণ্টা কথা বলেন এবং তাও সরাসরি নেতা-কর্মীদের সাথে।”
সভার আয়োজক জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।