তিনি বলেছেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে। বিশ্বাস করা যায়, একজন ছাত্র আরেকজন ছাত্রীকে পেটে লাথি মেরে ফেলে দিতে পারে!
“কারা এদেরকে দানব বানাল? দানব বানাল এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার। এই সরকার উন্নয়নের রোল মডেল নয়, তারা স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের শিক্ষক খন্দকার মোশাররফ।
তিনি বলেন, “তারা (সরকার) নিজেদের রাজা-বাদশা মনে করছে। গায়ের জোরে যদি ক্ষমতা চালাতে হয়, অতীতে রাজা-বাদশারা তাই করতেন, ভোটের প্রয়োজন হত না।”
চলমান অভিযানে বড় দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন খন্দকার মোশাররফ।
“ছোট-খাটো সম্রাটদের নাম আমরা শুনি। যারা এই পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে তারা চুনোপুঁটি মাত্র। আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা থানা লেভেলের কর্মকর্তা। বড় বড় রাঘব-বোয়ালরা আছে, তাদেরকে কিন্তু এখন পর্যন্ত স্পর্শ করা হয় নাই।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সভায় বলেন, “যে দেশটা নিরাপদ না, সেই দেশের সড়ক নিরাপদ থাকে কি করে? যে দেশটা নিরাপদ না, সেই দেশের মানুষের মান-সম্মান নিরাপদ কতটুকু থাকবে?
“সকল কিছু নিরাপদ করার একটিই পথ, দেশটাকে নিরাপদ করা। এই দেশটাকে নিরাপদ করতে হলে যিনি নেতৃত্ব দেবেন, তিনিও আজকে কারা অন্তরালে নিষ্ঠুর যন্ত্রণা মোকাবেলা করে টিকে আছেন।”
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
এম কে আনোয়ারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকাস্থ হোমনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সরকারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি, আখতারুজ্জামান সরকার, একেএম ফজলুল হক, মহিউদ্দিন সরকার, ভিপি সাহাবুদ্দিন প্রমুখ।