বিদেশফেরত হাফিজকে শনিবার সন্ধ্যার পরে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগে সকালে মিরপুরের ডিওএইচএসের বাসা থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৭/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় বলে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ইসহাক মিয়ানকে এবং রাত পৌনে ৮টার দিকে বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনকে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তারা ই-মেইলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক কথা-বার্তা আদান-প্রদান করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাফিজউদ্দিন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির ‘সংস্কারপন্থি’ অংশের মহাসচিব ছিলেন। বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন তিনি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রী হাফিজ দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য দেশে ফিরেছেন বলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কালকেও উনার সাথে ফোনে কথা হয়েছে, উনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আগামীকালের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য উনি দেশে ফিরেছেন। সকালে উনার বরিশাল যাওয়ার কথা, সেভাবে টিকেটও কেনা হয়েছে।
“সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।”
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকালে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ইসহাককে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগের এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত।