আব্বাস, খোকা, ফালু ক্যাসিনোয় যুক্ত ছিলেন: হাছান

বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা ও মোসাদ্দেক আলী ফালু ক্যাসিনো পরিচালনায় সম্পৃক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

ঢাকায় বিভিন্ন ক্লাবে র‌্যাবের জুয়াবিরোধী অভিযানের মধ্যে রোববার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের প্রচার উপকমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদ, জুয়া, হাউজি বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু মদ, জুয়া, হাউজি এবং উদ্দাম নৃত্য এগুলা আবার জিয়াউর রহমানই চালু করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় যখন বেগম খালেদা জিয়া ৯১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন কিন্তু এই ক্যাসিনো কালচার আবার ষোলকলায় পূর্ণ করেন।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা ও মোসাদ্দেক হোসেন ফালু ওনারা বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনোর সাথে যুক্ত ছিলেন। তারাই আবার শুরু করেছেন। ক্যাসিনো দীর্ঘদিন ধরে দেশে চলে আসছে। হঠাৎ করে হয়নি এগুলো।”

চলমান অভিযানে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “এগুলোকে সমূলে উৎপাটনের জন্য প্রধানমন্ত্রী সমূলে অভিযান শুরু করেছেন। সেখানে কে কোন মতের কে কোন পথের সেটি দেখা হচ্ছে না। আমি মনে করি, এজন্য বিএনপি মহাসচিবের সরকারকে সাধুবাদ জানানো দরকার।”

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “তোমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উনি তো বড় অজগর সাপ, যেটা সব গিলে খেয়ে ফেলে। তার নেতৃত্বেই তো হাওয়া ভবন খোলা হয়েছিল এবং হাওয়া ভবন খুলে সেখানে দশ পারসেন্ট কমিশন বাণিজ্য করা হত। খোয়াব ভবন খুলে আমোদ ফূর্তি করা হত। সুতরাং বিএনপির এটি নিয়ে কথা বলারই তো নৈতিক অধিকার নেই, যারা দেশটাকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল।”

ওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জাব্বার, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু, শাহ মোস্তফা আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।