তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ওপর সবচাইতে বড় আঘাত। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তি মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।
“…পরবর্তীতে প্রমাণ হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে খুন ও পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির মূল ঘাঁটি বিএনপি। বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিষবৃক্ষ।”
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ইনু।
এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপিসহ পাকিস্তানপন্থিদের সাথে কোনো আপস, মিটমাট চলে না। এরা ষড়যন্ত্রকারী। সুযোগ পেলেই ছোবল মারে।
“তাই ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ঘাঁটি-খুঁটি সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। ঘরকাটা ইঁদুর, ঘরের লোক, আপন লোকদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে, যেন ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো সুযোগ না পায়।”
গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদের আদর্শে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে ‘সুশাসনের’ কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন হাসানুল হক ইনু।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সভায় বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে দূরে সরিয়ে রেখে মুজিব বর্ষ পালন কোনো ফল দেবে না।
“বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেই মুজিব বর্ষ পালন করতে হবে।”
জাসদ সভাপতি ইনুর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, জাসদের সহ-সভাপতি আফরোজা হক রীনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, রোকনুজ্জামান রোকন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম বক্তব্য দেন।