যাব কোথায়: রিজভী

প্রশাসন ও বিচার বিভাগে দলীয়করণের অভিযোগ তুলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখন দেশে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নেওয়ার কোনো জায়গা নেই।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2019, 06:09 AM
Updated : 3 August 2019, 06:09 AM

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বানে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার সকালে ঢাকার নয়া পল্টনে মিছিল শেষে সমাবেশে একথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, “আজকে বিচার বিভাগকে করায়াত্ত করা হয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগকে দিয়ে যেমন প্রশাসন সাজানো হয়েছে, তেমনি নানাভাবেই তারা (সরকার) এদেরকে ঢোকাচ্ছে।”

উচ্চ আদালতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সবার আশা-ভরসার স্থল হচ্ছে উচ্চতর আদালত। সেই আদালতে যে রায় দেন দেশনেত্রীর জামিনের ব্যাপারে, গোটা জাতি হতবাক হয়েছে, হতাশ হয়েছে।

“আমরা যাব কোথায়? আমাদের আশ্রয়ের জায়গা কোথায়? কারণ রাস্তায় দাঁড়ালে যুবলীগ-ছাত্রলীগ, যদি গলির মধ্যে যাই, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাহলে আমাদের যাওয়ার জায়গা কোথায় আছে? আমরা একটা উপন্যাসে পড়েছিলাম, এক দিকে সমুদ্র, আরেক দিকে শয়তান, যাবে কোথায়? আজকে বাংলাদেশ ঠিক সেইরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে আছে।”

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কি বাকশাল? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কি একদলীয় শাসন? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কিএক ব্যক্তির শাসন?”

রিজভী বলেন, “ডেঙ্গু হচ্ছে, এটা মোকাবেলার খবর নাই। সবাই বলছে, তার যাতে ডেঙ্গু না হয় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে অবস্থান করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায়। নিজেরা বাঁচবেন, জনগণ মরুক ডেঙ্গুতে, বন্যায় ভেসে যাক, কোনো পরোয়া নেই প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের।

“কারণ তারা তো দিনের আলোয় ভোটে নির্বাচিত নয়, তাদেরকে রাতের অন্ধকারের নির্বাচনে জিততে হয়। এই ধরনের সরকারের জনগণের প্রতি দায়িত্ব থাকবে কেন?”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন রিজভী। মিছিলটি কাকরাইলে নাইটেঙ্গল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত গিয়ে আবার কার্যালয়ে ফিরে আসে।

এই মিছিলে রিজভী ছাড়াও ছিলেন বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা।