গত বছর ভালো ছিল না দেশ, এবছর যেন থাকে: মোশাররফ

বাংলা নতুন বছরে গুম-খুন-অপমৃত্যু বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2019, 04:15 PM
Updated : 14 April 2019, 04:17 PM

তিনি বলেছেন, “গত বাংলা বছরে আমরা ভালো ছিলাম না। আমরা এদেশের জনগণ আগামী বছরে ভালো থাকতে চাই, শান্তিতে থাকতে চাই, নিরাপত্তার মধ্যে থাকতে চাই।”

রোববার পহেলা বৈশাখে জাসাসের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

গত বছর ভালো না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে মোশাররফ বলেন, “গত বছর ছিল গণতন্ত্র হারানোর বছর। গত বছর এদেশের মানুষ কথা বলতে পারেনি, গত বছর মানুষের ভোটের অধিকার ছিল না।

“গত বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনের বছর ছিল। হাজার হাজার মিথ্যা মামলায় লক্ষ লক্ষ্ মানুষ কারাগারে, গুম-খুন, অর্থনীতিকে ধস, ব্যাংক লুট, রিজার্ভ লুট এবং শেয়ার বাজার লুটের বছর। সব ঘটনাই গ্লানি, সব ঘটনা দেশের মানুষের জন্য বেদনার ও দুঃখের।”

“আমরা প্রত্যাশা করতে চাই, এই নতুন বছরে আর বিএনপি নেতা ইলিয়াস চৌধুরীর মতো কেউ গুম হবে না, কেউ খুন হবে না। এই নতুন বছরে সাগর-রুনি-তনু-নুসরাতদের মতো আর কেউ অপমৃত্যুর শিকার হবে না। আমরা চাই, নতুন বছরে বর্তমানে যে অঘোষিত বাকশাল চলছে তার থেকে মুক্ত হবে। আমরা প্রত্যাশা করতে চাই, নতুন বছরে গণতন্ত্র ফিরে আসবে,” বলেন মোশাররফ।

দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তিতে আন্দোলনের আহ্বা জানিয়ে তিনি বলেন, “কোনো স্বৈর সরকার তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে কখনও এমনিতেই মুক্তি দিয়ে দেয় না। ইতিহাস তা বলে না। তাই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে আনতে আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে। গণতন্ত্রকে অতীতে বিএনপিই মুক্ত করেছে, এবারও এই দলের ওপর দায়িত্ব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করেই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখব।”

কারাবন্দি খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, “দেশনেত্রী কারাগারে বলে নতুন বছর পালন করতে পারছেন না। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে জাসাসের এই প্রতিবাদী বৈশাখী নামে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছোট মঞ্চ তৈরি করে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর উদ্যোগে বর্ষবরণ-১৪২৬ সাল উপলক্ষে ‘প্রতিবাদী বৈশাখী’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান হয়।

কারাগারে যাওয়ার আগে প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকতেন।

অনুষ্ঠানের প্রথমে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্ব এবং পরে জাসাস শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বক্তব্য রাখেন।