স্বাধীনতা দিবসে খালেদাকে মুক্ত করার শপথ নিতে বললেন ফখরুল

স্বাধীনতা দিবসে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির শপথ নিতে বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2019, 04:43 AM
Updated : 26 March 2019, 07:43 AM

মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে সাভারের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

ফখরুল বলেন, “আজকে এ মহান দিনে জনগণের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, স্বাধীনতার আদর্শ, লক্ষ্য ও চেতনা এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবার জন্য, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবার জন্য আজকে আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে৷ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।”

দুই দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাকে কারবন্দি করে রেখেছে।

 ফখরুল বলেন, “যে চেতনা ও আদর্শকে সামনে নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, আজকে সে চেতনা ও আদর্শ সম্পূর্ণভাবে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা চক্রান্ত প্রায় প্রতিষ্ঠা লাভ করতে চলেছে।”

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জনগণের ‘অধিকার হরণ’ করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, দেশের মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আজকে সাধারণ মানুষের চলাফেরার নিরাপত্তা পর্যন্ত নেই।”

সাভার থেকে ফিরে বেলা ১০টায় দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফখরুল। সেখানে জিয়ার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতেও অংশ নেন তারা।

সেখানে ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “আজকে আমরা শপথ গ্রহণ করেছি, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমরা আন্দোলন করব, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলন করব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে এদেশের জনগণের মুক্ত করব।”

বিএনপি নেতাদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলামখান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আদুস সালাম, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সেলিম রেজা হাবিব, আবু আশফাক খন্দকার এই দুই কর্মসূচিতে ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন।

অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন  আনোয়ার হোসেইন, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, আহসানউল্লাহ হাসান, মোরতাজুল করীম বাদরু, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, সাদেক আহমেদ খান ও আবুল কালাম আজাদ।

বিএনপি ছাড়াও যু্ব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, উলামা দল, মহিলা দল, মৎস্যজীবী দল, ছাত্রদল, জাসাসসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে জিয়ার কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে বুধবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।