ডাকসু নির্বাচন: রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে আ. লীগ নেতাদের বৈঠক

ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2019, 05:32 PM
Updated : 17 Feb 2019, 05:34 PM

রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, “অনেক প্রত্যাশার ডাকসু নির্বাচনকে আমরা সিরিয়াসলি নিয়েছি। এই নির্বাচনে ছাত্রলীগের নিরঙ্কুশ বিজয় পেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সিনেট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে একত্রে নিয়ে সকলে মিলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ যাতে ভোট দিতে পারে এবং এই চেতনায় যারা আছে তাদের সঙ্গে ডাকসুর প্যানেল হতে পারে। হতে পারে চেতনার ঐক্যের প্যানেল।”

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “এই নির্বাচনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাকসু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় পার্লামেন্ট। রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সিনেট সদস্যরা আমাদের অনেক পরামর্শ দিয়েছে।”

স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্রলীগ থেকে একবারই ডাকসুতে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিল। ১৯৮৯ সালের ওই নির্বাচনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্যানেল থেকে ভিপি পদে জয়ী হয়েছিলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। ওই প্যানেলে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে মুশতাক হোসেন জিএস এবং ছাত্র ইউনিয়ন থেকে নাসির-উদ-দৌজা এজিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এরপর ১৯৯০ সালে সর্বশেষ ডাকসুতে ছাত্রদল জয়ী হয়েছিল। এরপর আর নির্বাচন হয়নি।

আগামী ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে প্যানেল দেওয়ার কথা বলছেন ছাত্রলীগের নেতারা। তবে এই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে আগের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সব সংগঠন নেই।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য আখতারুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাইফুর রহমান সোহাগ এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী উপস্থিত ছিলেন।