বিএনপি ভাঙতে বাইরের লোক লাগবে না: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ভাঙলে নিজেদের কোন্দলেই ভাঙবে; সেজন্য বাইরের কারও দরকার হবে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2019, 12:32 PM
Updated : 24 Jan 2019, 12:32 PM

সরকার বিএনপিকে ‘বিভক্ত করার চক্রান্ত’ করছে বলে যে অভিযোগ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় কাদেরের এমন মন্তব্য এল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপি যদি ভাঙে তাদের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ, অভ্যন্তরীণ কলহ-কোন্দলের জন্য ভাঙবে। অলরেডি তাদের নেতারা ভিন্ন ভিন্ন সুরে কথা বলছে।

“তাদের নিজেদের মধ্যে ভাঙনের শুরু। যাদের নিজেদের ঘরেই শত্রু, তাদের সঙ্গে শত্রুতা করার জন্য বাইরের লোকের কোনো প্রয়োজন আছে বলে কেউ মনে করে না।”

আগের দিন বগুড়া শহরতলির গোকুল এলাকায় একটি হোটেলের লিফটে মির্জা ফখরুলের জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের জ্যাকেট ধরে থাকার একটি ছবি আলোচনার জন্ম দেয়।

পরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন বলেন, লিফটের ভিতরে অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে সভাপতির সঙ্গে ফখরুলের বাকবিতণ্ডা হয়েছিল।

ওই প্রসঙ্গে টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বগুড়ার ঘটনা, আর নিত্যদিন তাদের অফিসে লক্ষ্য করলে দেখবেন হাতাহাতি, একজন অন্যজনকে ‘সরকারের দালাল’ বলা নিত্যদিনের ছবি। তারা জর্জরিত, এই অবস্থায় তাদের সাথে শত্রুতা করার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট।”

’একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা সবার জন্যই ভালো’ মন্তব্য করে কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, “একটা স্ট্রং অপজিশন হিসেবে তারা সংসদে আসুক এটা আমরাও চাই। … যে কয়জনই আছে, আমরা তো তাদের স্বাগত জানিয়েছি। বিএনপিকে আমরা দুর্বল দল ভাবি না।”

নিজেদের কর্মকাণ্ডের কারণেই বিএনপির ‘লেজেগোবরে’ অবস্থা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের নেতা কাদের।  

তিনি বলেন, “ঐক্যফ্রন্ট একটা জগাখিচুড়ি, এটা থাকবে না সবাই জানে। আন্দোলন বা নির্বাচনে বিএনপির যা পারফরম্যান্স, তাতে সরকারের কি প্রয়োজন পড়েছে… বিএনপির এখন যে নড়বড়ে এলোমেলো অবস্থা..।”

বিএনপি অংশ না নিলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং কিশোরগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “বিএনপি একমাত্র বিরোধীদল নয়, আরও দল আছে। বিএনপির জন্য নির্বাচনও থেমে থাকবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতার লোকও থাকবে। প্রতিদ্বন্দ্বীবিহীন নির্বাচন হবে না। প্রার্থীও থাকবে।”