শনিবার মহানগরীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, মগবাজার, বাড্ডা, নতুন বাজার, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁওয়ের অলিগলিসহ নগরীর সব কটি ফ্লাইওভার এবং বিভিন্ন ভবন ও সড়কের পাশে দেয়ালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো দেখা যায়। চোখে পড়ছে আগাম প্রচারের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুনও।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা না হলেও আগাম প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা ।
বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়েও আগাম প্রচারের পোস্টার ও ব্যানারে পিছিয়ে নেই দল দুটির নেতারা।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্ধারিত ১৮ নভেম্বর মধ্যরাতের মধ্যে সব ধরনের আগাম প্রচার সামগ্রী না সরালে পরদিন সোমবার থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে নগরী থেকে এগুলো সরানোর কাজ শুরু হবে।
এর আগে ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান বলেছিলেন, “সম্ভাব্য প্রার্থীরা ওই সময়ের মধ্যে নিজেদের খরচে সব ধরনের প্রচার সামগ্রী না সরালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“কোনোভাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
মহানগরীর ১৫টি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজমের সাময়িক অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালনে রয়েছেন বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইসির নির্দেশনা অনুসারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচনী কাজ শুরু হয়েছে।
নির্বাচনী বিধি লংঘন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে ইসির হাতে।
আর রাজনৈতিক দল আচরণবিধি লংঘন করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর ভোট রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার এবং ভোটের আগে প্রায় ২০ দিনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণার সুযোগ রয়েছে প্রার্থীদের।