সর্বত্র বিক্ষোভ হচ্ছে: রিজভী

একুশে অগাস্ট মামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন সাজায় ক্ষুব্ধ মানুষ সারাদেশে বিক্ষোভ করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2018, 03:11 PM
Updated : 11 Oct 2018, 03:11 PM

তিনি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জনগণ এই রায় প্রত্যাখ্যান করে সারাদেশে বিক্ষোভ করছে। আমি নিজেও সকালে পুরনো ঢাকার জজ কোর্টের সামনে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছি।

“আমাদের কাছে খবর আসছে, সর্বত্র বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে। আশা করছি, এই কর্মসূচি সাফল্যমণ্ডিত হবে।”

দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের বিরুদ্ধে বুধবার রায়ের পর তা ‘ফরমায়েশি’ আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ মিছিল ও কালো পতাকা কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার মামলায় আদালতের ওই রায় হয়।

এই মামলার তদন্ত ও রায়ে উঠে এসেছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিনাশে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল, উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা।

রিজভী পাল্টা দাবি করেন,বিএনপিকে ‘নিশ্চিহ্ন করতেই এই ‘স্টেট স্পনসর্ড’ রায় দেওয়া হয়েছে।

“তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গতকাল যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা স্টেট স্পনসর্ড জাজমেন্ট। বিএনপিকে পরিকল্পিতভাবে ধবংস করার জন্যই, বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকারের বিশেষ ব্যক্তির মনোবাঞ্ছনা পূরণেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।”

জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানকে নির্যাতন করে তার মুখ দিয়ে তারেক রহমানের নাম বের করা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।

“মুফতি হান্নান নিজে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, ব্যাপক নির্যাতন করে সিআইডির লিখিত কাগজে তার সই আদায় করা হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন আমলে নেয়নি। কেন? এটি এক বিরাট প্রশ্ন।”

“মুফতি হান্নান প্রত্যাহারের আবেদনে বলেছিলেন, এই ২১ অগাস্ট বোমা হামলার ঘটনায় জনাব তারেক রহমান ও বিএনপির কেউ জড়িত নয়। প্রত্যাহারের এই যে আবেদন, তা আমলে না নিয়ে কার ইচ্ছা পূরণে রায়টা হল,” বলেন রিজভী।

নির্বাচনের আগে বিরোধী দল দমনে বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রায় ১১ হাজারের বেশি আসামিকে সরকার ছেড়ে দিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “এর মধ্যে ৬ হাজারের মতো ভয়ংকর আসামি।”

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে  ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জিয়াউর রহমান খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির খান, ফরিদা ইয়াসমীন, আমিনুল ইসলাম।