দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: কাদের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচকদের জবাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্য এই আইন করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2018, 07:00 PM
Updated : 8 Oct 2018, 07:00 PM

সোমবার ঢাকার ফার্মগেইটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইন্টারনেটে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য করা হয়েছে বলে সরকার বললেও তার বিভিন্ন ধারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করবে বলে অভিমত সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের।

সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই আইনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই সরকারকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন।

কাদের বলেন, “এই আইনটা কেন করা হয়েছে? মনে আছে গুজব সন্ত্রাসের কথা। ফেইসবুকে লাইভ পোস্টে কালো কাপড়ে মুখ পেঁচিয়ে বলেছে, আওয়ামী লীগ অফিসে তাদের রেইপ করছে, এমন আরও আছে চিত্রনায়িকা, পরে তারা গ্রেফতার হয়েছে।

“এসব নাটক সাজিয়েছে তারা, গুজব সন্ত্রাস এখন আন্দোলনের চেয়েও ভয়াবহ এবং সেই কাজটি বিএনপি করে যাচ্ছে। এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দুষ্টকে দমন করবে, শিষ্টকে পালন করার জন্য।”

সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, “নয়া পল্টনের অফিসে বসে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশ্রাব্য অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছে, এই যে এইচ টি ইমাম সাহেব এখানে বসা, উনাকে নিয়েও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। তার পরেও তো  পুলিশ তাদের ধরছে না। এসব কথা তারা অহরহ বলছে।”

সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অভিন্ন কর্মসূচিতে নামার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “পানি আর তেলে মেশে না, এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের কোনো ভবিষ্যত নেই।

“১০ বছরে যারা ১০ মিনিটও রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি, তারা আন্দোলন করবে? এটা হাস্যকর। কাদের নিয়ে আন্দোলন করবে, দেশের জনগণ? জনগণ কেন আসবে? আন্দোলনের কোনো অবজেক্টিভ কন্ডিশন দেশে নেই।”

পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের বলেন, “সদ্য প্রণীত আইন, তারপরও বিধি তো করা হয়েছে। যদি বিধি প্রণয়ন করে কোনো সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, তাদের জন্য আমরা করব।

“আমরা তো শ্রমিকবান্ধব সরকার, সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারার দল আমরা না। এটা আমরা সময়মতো দেখব। তবে তাদের এখন ধর্মঘটটা প্রত্যাহার করতে হবে।”

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্নর আতিয়ার রহমান, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সদস্য সচিব আব্দুস ছাত্তার, সদস্য মীর তোফাজ্জল হোসেন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য মো. ইউসুফ।