আমীর খসরু বিদেশ পালাতে পারেন, সন্দেহ দুদকের

অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2018, 12:34 PM
Updated : 4 Oct 2018, 12:34 PM

এজন্য তার ও তার স্ত্রী তাহেরা আলমের বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে দুদকের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ইমিগ্রেশন পুলিশকে বলা চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা কাজী শফিকুল আলমের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।”

আমীর খসরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং নিজে, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

এসব অভিযোগে অনুসন্ধানে সাবেক এই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৮ অগাস্ট তলব করেছিল দুদক। তখন এক মাস সময় চেয়েছিলেন তিনি।

১০ সেপ্টেম্বর তাকে দ্বিতীয় বার তলব করা হলে তিনি তার ‘আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ’ করে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করার বিষয়টি উল্লেখ করে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে দুদকে আবেদন করেন।

তবে হাই কোর্ট দুদকের তলব বৈধ বলে আদেশ দেয়।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে আরও মানুষ নামাতে ‘আমীর খসরুর’ একটি ফোনালাপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

তা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা দাবি তোলার পর এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলাও হয়।

ওই ঘটনার পর আমীর খসরু ওই ফোনালাপের কণ্ঠ তার নয় বলে দাবি করেন। মামলা হওয়ার পর বেশ কিছু দিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তিনি ওই মামলায় জামিন নেন। এর মধ্যেই দুদক তাকে নিয়ে তদন্তে নামে।

তিতাসের এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মীর মসিউর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

বৃহস্পতিবার ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপারের বরাবর পাঠানো চিঠিতে তারা যাতে বিদেশ গমন করতে না পারেন সেই ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

মিটার টেম্পারিং ও মিটার বাইপাস করে গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করছে।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- তিতাসের গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক এস এম আবদুল ওয়াদুদ, নারায়ণগঞ্জ শাখার মহা-ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস শাখার ব্যবস্থাপক শাহজাদা ফরাজী ও সহকারী কর্মকর্তা আবু ছিদ্দিক তায়ানী।