সোমবার গুলশান কাঁচাবাজারে নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন সরকারের সেতুমন্ত্রী কাদের।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের টানা ৭ দিনের গণসংযোগের অংশ হিসেবে সোমবার গুলশানে এই প্রচারে অংশ নেন তিনি।
এর আগের দিন রোববার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সাত দফার ঘোষণা দিয়ে জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
তফসিল ঘোষণার আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানসহ সব নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহার, সংসদ ভেঙে দেওয়া, সরকারের পদত্যাগ, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি রয়েছে এর মধ্যে।
ওবায়দুল কাদেরের ভাষায়, বিএনপির এসব দাবি ‘অযৌক্তিক, অবাস্তব’ এবং কোনো কোনোটি ‘সংবিধানবিরোধী’।
“নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার আর মাত্র এক মাস বাকি, এর মধ্যে মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা নিজেরা ক্ষমতায় থাকলে এই সময়ের মধ্যে এই দাবিগুলো মেনে নিতে পারতো না। অসংবিধানিক দাবি কেউ মেনে নিতে পারতো না।”
তিনি বলেন, “এই দাবিগুলো তারা শুধুমাত্র বলার জন্য বলছে, তাদের নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে এইসব আবোল তাবোল দাবি তুলছে। তারাও জানে, এই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
আন্দোলনের নামে নাশকতা হলে তা ঠেকাতে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সহিংসতা, নাশকতা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা মারামারি হানাহানি, পাল্টাপাল্টির মধ্যে নেই। বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক শক্তি যদি সহিংসতা, নাশকতা করে তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করব।”
বিএনপির রাজপথ দখলের ঘোষণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাজপথ কে দখল করতে আসে দেখব। রাজপথ দখল করতে এলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে।”
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ‘নিজেরা নিজেরা’ বিষোদ্গার করলে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
“গণসংযোগ কোনো প্রার্থীর নয়, গণসংযোগ হবে নৌকার। পরিচালনা করার জন্য সকল ওয়ার্ড মহানগর জেলা উপজেলা ইউনিয়নে শুরু হচ্ছে এটাই প্রথম প্রোগ্রাম। ক্যামেরার সামনে লোক দেখানো গণসংযোগ করবেন না।”
আগামী নির্বাচনে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান কাদের।
ওবায়দুল কাদের ছাড়াও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সধারণ সম্পাদক সাদেক খান, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জসিম উদ্দিন, ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক রানা গণসংযোগে অংশ নেন।