সোমবার বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর তারা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মথুরাডাঙ্গার আটকোষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের কিছু দূরে এই বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে মথুরাডাঙ্গার সড়ক অবরোধ করেন এই ভোটাররা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে পারেননি। অথচ কেন্দ্রের ভেতরে অনেকটা ফাঁকাই ছিল।
আটকোষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রের একটিতে ২ হাজার ৪২৩ পুরুষ ভোটার এবং অন্যটিতে ২ হাজার ৬২৮জন নারী ভোটার ছিল। এর মধ্যে প্রায় ৮০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
আটকোষী বিদ্যালয় থেকে গাড়ির বের হওয়ার একমাত্র পথ বন্ধ করে দেন তারা। এখনও ভোট ‘দিতে চান’ জানিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এই পথ দিয়ে যেতে দিবেন না বলে হুমকি দেন তারা।
ভোটারদের একজন আমজাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানে প্রায় সাড়ে ১২টার থেকে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অনেক লম্বা লাইন ছিল। পুলিশ ঢুকতে দেয়নি।”
আরেক ভোটার রহিমা খাতুন বলেন, “আমি দুপুর ১টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অনেক লম্বা লাইন। কিন্তু এক দুইজন করে ভেতরে গেছে। সে কারণে অনেকে ভোট দিতে পারেনি।”
এ বিষয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে কেন্দ্রের ভেতরে যেতে চাইলে সামনে থাকা পুলিশ সদস্যরা যেতে দেননি। একজন বলেন, “এখন উনি ভোট গণনায় ব্যস্ত। সময় দিতে পারবেন না।”
রাজশাহীতে ১৩৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার।
বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি নিজের ভোটও দেননি।