শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের বর্ধিত সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, “চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের দাবিটা হঠাৎ করে নতুন করে শিক্ষার্থীদের মাথায় আসে নাই। এটা ২০০১ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর দাবি। সেটাকে তারা পূর্বে বাস্তবায়ন করে নাই।
“এখন সুপরিকল্পিতভাবে ছাত্রদের উসকে দিয়ে কৌশলে কোটা সংস্কার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাদের ফায়দা চরিতার্থ করতে চায়।”
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনায় সংসদে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের দাবি করেছিলেন। ২০০৩ সালে বাজেট অধিবেশনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীও একই দাবি করেছিলেন।
২১ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা সফল করার লক্ষ্যে এ সভা হয়।
সভায় হানিফ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে উসকে দিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সাথে লন্ডনে থাকা তারেক রহমান টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়েছে।
“এই সবগুলোই প্রমাণ করে, এটা শুধু ছাত্রদের নয়, ছাত্রদের কাঁধে ভর করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।