রোববার ভোলায় এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “খালেদা জিয়া অসুস্থ নন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। যদি তিনি অসুস্থ হতেন তাহলে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও সিএমএইচে ভর্তি হবেন না কেন?”
চার মাসের বেশি কারাবন্দি খালেদা জিয়া গত ৫ জুন কিছুক্ষণের জন্য অচেতন হয়ে পড়েন। তার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। খালেদা জিয়াকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন তারা।
এই দাবি বিএনপির পক্ষ থেকেও করা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। তবে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চায় সরকার।
ওই দিন তার কী হয়েছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে খালেদাকে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে বিএনপি নেত্রীর আপত্তিতে তা আর হয়নি।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে না এলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে তাতে নারাজ বিএনপি নেতারা বলছেন, অন্য কোথাও নয় ‘রোগীর আস্থা বিবেচনায় নিয়ে’ তাদের নেত্রীকে ইউনাইটেড হাসপাতালেই ভর্তি করতে হবে।
“কিন্তু একটা হাসপাতাল কেন? কারণ সেখানে তার পছন্দের চিকিৎসক রয়েছেন। তিনি বলে দেবেন বিদেশ ছাড়া তার কোনো চিকিৎসা হবে না। সুতরাং তাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য একটা পাঁয়তারা করা হচ্ছে।”
আগামী নির্বাচন নিয়েও এ সময় কথা বলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য তোফায়েল।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দাবি করে তিনি বলেন, “বিএনপির কোনো দাবি বাস্তবসম্মত নয়। সুতরাং তাদের দাবি-দাওয়া পরিত্যাগ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। এর বাইরে কিছু করতে গেলে তাদেরই ক্ষতি হবে।
“তারা অতীতে নির্বাচন না করে জ্বালাও পোড়াও করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার ভুল করলে তারা আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
দুপুরে জেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তোফায়েল আহমেদ।
এ সময় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।