“ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। এটি ২০১৪ সাল নয়, এটি ২০১৮ সাল। ২০১৪ সালের তুলনায় শেখ হাসিনার হাত আরও বেশি শক্তিশালী। শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের নেত্রী,” বলেছেন তিনি।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানবববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এই বছর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত। তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে এলেও তাতে গা করছে না আওয়ামী লীগ। বিএনপি বলছে, ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হলে তা দেশ কিংবা বিদেশ কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির যে শর্ত দিয়েছে, তাও প্রত্যাখ্যান করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো সর্ম্পক নাই। খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নয়, তিনি হচ্ছেন দুনীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। শাস্তিপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সর্ম্পক নাই।
“এরশাদও জেলে ছিলেন। তখনও নির্বাচন তার জন্য বসে ছিল না, খালেদা জিয়া জেলে আছে, তার জন্যও নির্বাচন বসে থাকবে না।”
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার মধ্যে বিএনপিকে আটকিয়ে রাখবেন না। তাদের মধ্যে আটকিয়ে রাখলে বিএনপিকে টিকিয়ে রাখা যাবে না।”
ফিলিস্তিনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির কোনো প্রতিবাদ না দেখার কথা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি অফিসে সকাল-বিকাল প্রেস ব্রিফিং করা হয় শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। আজকে ফিলিস্তিনে পাখির মতো মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, এ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মুখ থেকে একটি শব্দও বের হয়নি।
“বিএনপি ইসলামের কথা বলে ভোট চাইবে। এরা আসলে ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করে। মুসলমানের উপর অন্যায় ও অত্যাচার হয়, সেটি নিয়ে কোনো কথা বলে না।”
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার।