মঙ্গলবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মামলাগুলোতে আইনি লড়াইয়ের জন্য দেশের আইনজীবীদের সহযোগিতা করা জন্য, পরামর্শ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ আইনজীবী ব্যারিস্টার লর্ড কারলাইলকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলে জ্যেষ্ঠদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান ও অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন।
খালেদা জিয়ার মামলায় লড়তে দেশের আইনজীবীরা যথেষ্ট নয় বলেই কি ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “নট নেসেসারিলি। এটা করা হয়েছে এনরিচ করা এবং ইন্টারন্যাশনাল এরিনাতে এ বিষয়টাকে নিয়ে আসার জন্য।”
দেশের অন্যতম শীর্ষ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন খালেদার মামলায় পরামর্শ দেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ড. কামাল হোসেন বলেছেন যে, উনি কেইসের বিষয়টা পড়ছেন। যতটুকু পরামর্শ প্রয়োজন তিনি দেবেন, যখন মূল কেইসে শুনানি হবে।”
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্য কারলাইলের আইনজীবী হিসেবে অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “লর্ড কারলাইল কুইন্স কাউন্সিলের সদস্য। দীর্ঘকাল ধরে তিনি আইন পেশার সাথে জড়িত এবং রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমনওয়েলথ রাইটস ইনিশিয়েটিভের চেয়ারম্যান। ২৮ বছর ধরে তিনি পার্টটাইম জজ হিসেবে কাজ করেছেন ইনক্লুডিং ইন দি হাই কোর্ট অব জাস্টিস। তিনি একজন সাবেক এমপি।”
লর্ড কারলাইলের অফিস থেকে পাঠানো একটি চিঠি পড়ে শোনান বিএনপি মহাসচিব।
“ওখান থেকে তিনি কাজ করবেন। প্রয়োজনে দেশেও আসবেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার ৩৬টি মামলায় লর্ড কারলাইল আইনি পরামর্শ দেবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসময় উপস্থিত ছিলেন।