দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সমাবেশের ব্যাপারে আমরা এখনও অনুমতি পাইনি, আমরা অপেক্ষা করে আছি। আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।”
রিজভী বলেন, অনুমতি পেলেই তারা মঞ্চ নির্মাণ ও অন্যান্য কাজগুলো পুরোদমে শুরু করতে পারেন। এই অবস্থায় তারা পুলিশের দিকে তাকিয়ে আছেন।
“গণপূর্ত অধিদপ্তর আমাদের বলেছে, পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে তারা মাঠ দিয়ে দেবে, তাদের কোনো অসুবিধা নেই।”
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ফেব্রুয়ারিতেও একবার সোহরাওয়ার্দী চেয়ে আবেদন করেছিল বিএনপি। তখনও তারা সাড়া পায়নি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিম খানা ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পাঁচ বছরের সাজায় কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, গণ অনশন, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশের মত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি।
এর ধারাবাহিকতায় বিভাগীয় শহরগুলোতে বিএনপির জনসভাও শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামে সমাবেশ হয়ে গেছে। আগামী ৩১ মার্চ রাজশাহী এবং ৭ এপ্রিল বরিশালে সমাবেশের তারিখ রয়েছে।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ ও সাইফুল ইসলাম পটু উপস্থিত ছিলেন।