বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বলার পর তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদককে আহ্বান জানান কাদের।
তিনি বলেন, “জিয়া পরিবারের সৌদি আরবে অর্থ পাচার ও বাংলাদেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করে যে অর্থ বিদেশে পাচার করেছে, এইগুলোর তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা দুদককে আহ্বান জানাচ্ছি।”
কম্বোডিয়া সফর নিয়ে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌদি আরবে সম্পদ থাকার খবর বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে দেখার কথা জানিয়েছিলেন।
এক ‘বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’ দাবি করে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে বলেছিলেন, “এই মানহানিকর তথ্য প্রচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা বাধ্য হব।”
“আমি বিএনপি মহাসচিবকে বলব, আপনি শেখ হাসিনার বক্তব্যকে খণ্ডন করতে গিয়ে যে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছেন, এটাই আপনাদের আসল চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
“তারা বুঝে ফেলেছে, ইতোমধ্যে দুর্নীতির মামলা ঝুলছে, আরও দুর্নীতির মামলা আসছে। নির্বাচন সামনে তারা এখন হাবুডুবু খাচ্ছে হতাশার সাগরে। তাই এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে
কাদের বলেন, “আপনাদের কি মনে আছে, আমি যখন ২০০৫ সালে পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করে বিমানবন্দরে ৩০০টি স্যুটকেসের কথা বলেছিলাম, এই কাহিনি কোনো কল্পকাহিনি নয়।
“প্রমাণিত সত্য আমেরিকা, সিঙ্গাপুরের আদালত। তারপরও আপনারা কোনো দিন জাতির কাছে ক্ষমা চাননি। এগুলো কী করে অস্বীকার করবেন?”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা বাংলাদেশে সর্বজনস্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত; বাংলাদেশের বাইরেও তার সততা স্বীকৃত। সর্বশেষ ১৭৩টি দেশের মধ্যে সেরা সৎ ব্যক্তির মধ্যে শেথ হাসিনার নাম আসার পর থেকে বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃত্বে একটা মহলের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে।”
‘প্রমাণ করুণ, নইলে মামলা’
পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেলে দুর্নীতি হয়েছে- বিএনপির এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “যদি প্রমাণ করতে না পারেন যে পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেলে দুর্নীতি হয়েছে, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
“আর প্রমাণ করতে পারলে আদালত আমরা ফেস করব।”
সংবাদ সম্মেলনে কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গির কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।