বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্টের (আইডিসিপিসি) সহকারী মন্ত্রী ওয়াং ইয়াউন ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
রাত পৌনে ৭টায় থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আমাদের দেশে রোহিঙ্গা যে সমস্যা রয়েছে সেক্ষেত্রে তিনি বলেছেন যে, চীন এখানে একটি মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে পারে, যাতে মিয়ানমারের নাগরিকরা দ্রুত তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে, তার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন।
“তারা বলেছেন, এ ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন, কথা বলেছেন। তারা চেষ্টা করছেন, কাজ করছেন যে দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে, যাতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে পারে।”
ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আশা প্রকাশ করেছেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক সেটা আরো গভীর হবে এবং শুধু আঞ্চলিক ক্ষেত্রেই নয়, গ্লোবাল ক্ষেত্রেও চীন তার ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।”
বৈঠকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদ্য সমাপ্ত ১৯তম কংগ্রেস ও ‘ওয়ার্ল্ড পলিটিক্যাল পার্টি ডায়ালগ’ এর বিষয়বস্তু ও সিদ্ধান্তসমূহ চেয়ারপারসনকে জানায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।