ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মেয়াদ দুই বছর থাকলেও গত কয়েকটি সম্মেলন হয়েছে চার থেকে পাঁচ বছর পর।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাইয়ের সম্মেলনে সাইফুর রহমান সোহাগ সভাপতি ও এসএম জাকির হোসাইন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
চলতি বছরের জুলাই মাসে মেয়াদ পূর্ণ হলেও ছয় মাস পেরিয়েও সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেনি বর্তমান কমিটি।
বুধবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্মেলন করার তাগিদ দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,“নিয়ম অনুযায়ী ছাত্রলীগের সম্মেলন দুবছর পর পর। দু-বছর পর সম্মেলন হলে আজকের নেতৃত্বে যে ট্রাফিক জ্যাম, এটা হত না। আরও এক সেট লিডারশিপ বেড়িয়ে আসত। আমি আজকে একটাই নির্দেশনা দেব, যেন সময়মতো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।”
মহানগরের মতো ঢাকা জেলা ছাত্রলীগকে দুটি শাখায় ভাগ করতে বলেন ওবায়দুল কাদের।
“ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ অনেক বড় শাখা। এটার কোথায় কেরানীগঞ্জ, আর কোথায় ধামরাই। এটা একার পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া যায় না। তাই এটাকে দুভাগে বিভক্ত করে ঢাকা জেলা উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত কমিটি দেওয়া হবে।”
অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
“গুটিকয়েক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বদনামের কারণে গোটা ছাত্রলীগের বদনাম হতে পারে না। গুটিকয়েকের অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ সরকার নিতে পারে না।”
ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের স্থান না দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকরামুল নবী ইমুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন রাজিব।