সেই সঙ্গে ভোট অনুযায়ী সংসদে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’ ব্যবস্থা চালু, সংরক্ষিত নারী আসন ১০০ তে উন্নীত করাসহ ১৭ দফা সুপারিশ করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সিপিবি সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।”
সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সংসদ ও নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা সেলিম।
তিনি বলেন, “সংসদ ভেঙে দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক বা সহায়ক বা কোনো সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে।”
যতদিন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে, ততদিন আরও তিনটি ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করে দলটি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ১০০ তে উন্নীত ও সরাসরি ভোট করতে হবে; নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ওই প্রতিনিধিকে প্রত্যাহারের বিধান করতে হবে; না ভোটের বিধান যুক্ত করতে হবে।
এছাড়া অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা; স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর তালিকা জমার বিধান বাতিল করা; জাতীয়ভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী হতে হলে কোনো ব্যক্তিকে কমপক্ষে ৫ বছর রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য থাকা; নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করা; নির্বাচনে সন্ত্রাস, পেশিশক্তির প্রভাব ও দুর্বৃত্তমুক্ত করা; নির্বাচনে ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা ও আঞ্চলিকতার অপব্যবহার রোধ করা; নির্বাচনে সকলের সম-সুযোগ নিশ্চিত করা; নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণে ও নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা বিধান করা; নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও বিধির সংস্কার করা; নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্বতন্ত্র আদালত গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সিপিবি।
ইসির ধারাবাহিক সংলাপে এ পর্যন্ত ৩২টি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করল ইসি। বৃহস্পতিবার সকালে সিপিবির পর দুপুরে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।