একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসনের সীমানা ৩৩ বছর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
Published : 19 Jun 2017, 12:23 AM
দলটি বলছে, ২০০৮ সালে এসে শতাধিক আসন ভেঙে আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। ১৯৮৪ সালে যে পদ্ধতিতে আসন বিন্যাস হয়েছে একইভাবে এবারও পুনর্বিন্যাস করা যায়।
বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন ভবনে যায়।
বৈঠকের পর খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮৪ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে ৩০০ আসন নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু ২০০৮ সালে দশম নির্বাচনের আগে আসনগুলো ভেঙে ১৩৩টিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। এতে নির্বাচন কমিশনের আইন-কানুনের ব্যত্যয় ঘটেছে।
“নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা কমিশনের আছে, তাই ১৩৩টি আসনে যে অসামঞ্জস্যতা আছে তা দূর করে ৩০০ আসন পুনর্বিন্যাস করার জন্য আমরা কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে সিইসি নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, “সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে বিএনপি প্রতিনিধি দল ১৯৮৪ সালের নীতিতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করব।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনের যে রোডম্যাপ বর্তমান ইসি করেছে, সেখানে সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টিওি আছে।
এই বিষয়ে একটি রাজনৈতিক দলে থেকে দাবি আসায় পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন সিইসি।
“আমরা এই মূহুর্তেই বলতে পারব না যে, আমরা ৮৪তেই থাকব, তা ২০০৮ এ যেটা ছিল সেটায় থাকব, নাকি ২০১৪’র নির্বাচনে যেটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ব্যবহার করব। তবে হ্যাঁ, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পরিবর্তন আনতে কাজেই এই মূহুর্তেই ৮৪ সালে ফিরে যাব এটা বলা যাবে না। আমরা চিন্তা ভাবনা করব।”
বিএনপির প্রতিনিধি দলে মোশাররফ ছাড়াও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুর রশীদ সরকার ও সুজা উদ্দিন।
অন্যদিকে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসোন চৌধুরী, ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।