শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দলের ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
কামরুল বলেন, “আগামী দিন জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবার সার্বজনীনভাবে পালন করছে।
“কিন্তু এই শোক দিবসে প্রতিবছর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। আশা করছি এই ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, আর সেই অপেক্ষায় আমরা আছি।”
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর দিন ১৫ অগাস্টে খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করলেও তার একাধিক জন্মদিন থাকার অভিযোগ পুরনো।
এরই মধ্যে কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে নালিশি মামলাও হয়েছে।
কামরুল অভিযোগ করেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, “তার আজকে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখলাম তিনি নাকি লন্ডন যাবেন না। কেন যাবেন না তা জানি না। তিনি কি ভিসা পাননি, না অন্য কোনো কারণে। আসলে তিনি লন্ডন যেতে চান তার পুত্র তারেক রহমানের সঙ্গে নতুন কি ষড়যন্ত্র করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে।”
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা নাশকতা চালাতে মদদ দিয়েছেন, পরিকল্পনা করেছেন, অর্থ জোগান দিয়েছেন প্রত্যেকের বিচার হবে। আমরাই বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি। আট জনকে ফাঁসি দিয়েছি।”
“আমরাই বিচারহীনতা থেকে বেরিয়ে এসে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছি। অথচ বিএনপির আমলেই বিচারহীনতা হয়েছে। তাদের সময় মিথ্যা তদন্ত হয়েছে। ফরমায়েশি বিচার হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “১৫ আগস্ট যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এটি একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। ইতিহাসকে কালিমামুক্ত করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা এই হত্যাকাণ্ডে কলকাঠি নাড়িয়েছেন ও মদদ দিয়েছেন এদেশে তাদেরও বিচার হবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভুয়া ৪টি জন্মদিন পালন করেন। এটি বিশ্বের অন্য কোনো দেশে হলে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির দায়ে ফৌজদারি মামলা হতো।”
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি আবদুল মান্নান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি ও অভিনেতা এটি এম শামসুজ্জামান, ড. ইনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।