নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া গণতন্ত্রমঞ্চসহ যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেছেন, “সরকার যতই তালবাহানা করুক, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। গণতন্ত্র মঞ্চসহ যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছেন, কেউ তার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।
“প্রধানমন্ত্রী অনেক সময় অনেক ওয়াদা করেছেন, কিন্তু কখনোই কথা রাখেন না। তার কথায় আর কোনো আস্থা আমাদের নেই। এক কথা, উনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেই হবে। গণঅভ্যুত্থানে ওদেরকে বিদায় করতে হবে।”
শনিবার সকালে পল্টন মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনসহ ১৪ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “এই সরকার দেশের মানুষকে গ্যাস চেম্বারে তুলে রেখেছে। তারা জনগণকে বন্ধক রেখে তাদের অবৈধ ক্ষমতার যে মসনদ তাকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
“এই অবস্থার উত্তরণে ঘটাতে হলে আমাদের জনগণের ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করে এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে হবে। এছাড়া কোনো বিকল্প নাই।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ক্ষমতার সুষ্ঠু বণ্টন সম্ভব নয়। রাষ্ট্র্রের কাঠামোগত সংস্কার না করা গেলে আমাদের জনগণের সুখ আসবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে না, বিদ্যমান সংকট কাটবে না।
“বিদ্যুৎ খাতের অবস্থা দেখুন। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সিস্টেম লস ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নিত্যপণ্যের দাম অনেক সহনীয় পর্যায় থাকতো। কিন্তু সরকার এই নিয়ন্ত্রণ করে না। কারণ সিস্টেম লসের নামে তারা লুটপাট করে।”
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমনের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, জেএসডির সহসভাপতি কে এম জাবির।