মন্তব্যের জন্য বিদেশিদের উৎসাহিত করে বিএনপি: হাছান মাহমুদ

“কোন বিদেশি কী বলল, কে কী করল- তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই,” বললেন তিনি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2022, 04:39 PM
Updated : 25 Nov 2022, 04:39 PM

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিরা যাতে মন্তব্য করে, সেজন্য ‘ধরনা দিয়ে’ বিএনপি নেতারা তাদের উৎসাহিত করে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, “তারা (বিএনপি) যতো না জনগণের কাছে যাচ্ছে, তার চেয়ে বেশি রাতের বেলা দূতাবাসে গিয়ে ধরনা দেয়। ধরনা দিয়ে তাদের হাতে পায়ে ধরে বিএনপি। হাতে পায়ে ধরে বলেন, আপনারা কিছু বলুন। সেই কারণে কেউ কেউ কোনো কোনো সময় বক্তব্য দেন। এই মন্তব্য করার জন্য বিএনপিই তাদের উৎসাহিত করে।”

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্দর নগরীর সার্কিট হাউজে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং সংসদদের মধ্যে সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘বিদেশিদের বিভিন্ন বক্তব্য বর্তমান সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’- বিএনপি নেতা আমীর খসরুর এ বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। 

জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “কোন বিদেশি কী বলল, কে কী করল- তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। যারা বিদেশি শক্তির পদলেহন করে, তারা এরকম বক্তব্য রাখতে পারেন। আমির খসরু সাহেবরা বিদেশিদের পদলেহন করে তো, সেজন্য বিদেশিরা কী বলল, না বলল- সেটা নিয়ে তাদের এত মাথাব্যথা। 

“আমাদের ভিত হচ্ছে জনগণ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছে পরপর তিনবার। কোনো বিদেশি শক্তি আমাদেরকে ক্ষমতায় বসায়নি, কোনো বিদেশি শক্তি বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনও করতে পারে না।”

আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক হাছান বলেন, “চট্টগ্রামের সমাবেশের জন্য তারা ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছে। চট্টগ্রামের বহু ব্যবসায়ী আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেছে- তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিএনপি চাঁদা আদায় করেছে। আবার জনসভার নামে তারা বিভিন্ন জায়গায় পিকনিকের মত আয়োজন করছে।

“আগামীকাল শনিবার তাদের কুমিল্লায় জনসভা। সেখানে সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাক্কু বলেছেন, তার পরিবারের ৭৬টি ফ্ল্যাট নেতাকর্মীদের থাকার জন্য দিয়েছেন। প্রথমত ৭৬টি ফ্ল্যাট কিভাবে আসল সেটা একটা বড় প্রশ্ন। বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীদের এনে সেখানে তারা পিকনিকের আয়োজন করছে।”

শুক্রবার যশোরে আওয়ামী লীগের জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেয় মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, “চট্টগ্রামের জনসভাও পলোগ্রাউন্ড ছাড়িয়ে বহু বিস্তৃত হবে। পলোগ্রাউন্ডে যত মানুষ হবে, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষ হবে পলোগ্রাউন্ডের বাইরে। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটবে।”

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।

সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান মিতা, দিদারুল আলম ও খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।

Also Read: ‘গুম, খুন’ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়: খসরু