দ্য এন্ড অব আজভস্তাল ফেইরিটেইল

সাইফ তারিক
Published : 2 June 2022, 02:38 PM
Updated : 2 June 2022, 02:38 PM

আজভস্তালের পতন হয়েছে অবশেষে। ২১ মে আজভস্তাল স্টিল ওয়ার্কস বা স্টিল কমপ্লেক্স নামের দুর্গের পতন ঘটে। আজভস্তাল আন্ডারগ্রাউন্ড সিটাডেল- ভূতলে অভেদ্য দুর্গ। দশ তলা ভূতল কাঠামো। সোভিয়েত আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল। এ কাঠামোর সহন-ক্ষমতা এতো যে, পারমাণবিক হামলায়ও টিকে থাকতে সক্ষম। প্রায় লাখের কাছাকাছি লোক বিশেষ দুর্যোগের কালে এখানে অবস্থান করতে পারে। সে সুযোটাই ইউক্রেইনের নিয়মিত বাহিনীর (এএফইউ) ও ইউক্রেইনের ন্যাশনাল গার্ডের (আজভ ব্যাটালিয়ন, রাইট সেক্টর ও অন্যান্য ন্যাশনালিস্ট ফোর্স বা ইউনিট) নিয়েছিল বা নিতে বাধ্য হয়েছিল। গা-ঢাকা দেওয়ার জন্য এর চেয়ে সুরক্ষিত ও নিরাপদ জায়গা আর হয় না।

ইউক্রেইনের নিয়মিত বাহিনীর সৈন্যরা এবং নিওনাজি তথা নব্যনাৎসি আজভ ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা (ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের অংশ; তাদের সাথে রাইট সেক্টরের ও অন্যান্য নাজি ফরমেশনের সদস্যরাও আছে) সেখানে রুশ ও দনেৎস্ক-লোগানস্কের মিলিশিয়াদের তাড়া খেয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের সাথে বিদেশি ভাড়াটে সেনারাও অর্থাৎ মার্সিনারিরা (সাধারণত ন্যাটোভুক্ত বিভিন্ন দেশের) আশ্রয় নিয়েছিল। হাজার দেড়েকের মতো বেসামরিক নাগরিককেও মানবঢাল হিসেবে আটকে রেখেছিল অর্থাৎ জিম্মি করে রেখেছিল তারা। নাগরিকদের মধ্যে বৃদ্ধ ছিল, নারী ছিল এবং শিশু ছিল। বেসামরিক নাগরিকদের জিম্মি করে রাখাই ছিল তাদের তুরুপের তাস। ভেবেছিল বেসামরিক নাগরিকদের বিনিময়ে তারা রক্ষা পেয়ে যাবে।

আজভস্তালে নব্যনাৎসিরা আটকা পড়েছিল দুই মাসের বেশিদিন। আটকা পড়েছিল বিদেশি মার্সিনারিরা। বেসামরিক নাগরিকরা তো ছিলই। পয়লা মে জাতিসংঘের এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সহায়তায় বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধার শুরু হয়। বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি দিতে গড়িমসি করছিল নব্যনাৎসিরা অর্থাৎ আজভ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। আজভ ব্যাটালিয়ন বলা হলেও 'আজভ' আসলে একটি ব্রিগেড ফর্মেশন। তাদের সাথে ছিল রাইট সেক্টর ও অন্যান্য নব্যনাৎসি ইউনিট। এছাড়া আজভস্তালের আশপাশে ছিল ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর (এএফইউ) ব্রিগেড ও ব্যাটালিয়ন ফর্মেশনের বিভিন্ন ইউনিট। তারা রুশ বাহিনী এবং লোগানস্ক ও দনেৎস্ক মিলিশিয়াদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। গোটা ব্রিগেড ধরেও আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দুই হাজারের কাছাকাছি ইউক্রেইনি সেনা আজভস্তালের লাগোয়া এলাকায় আত্মসমর্পণ করেছে।

বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধার করার পর বাকি নব্যনাৎসিদের উপর আটকাবস্থা আরো কঠোর করে রুশ বাহিনী এবং লোগানস্ক ও দনেৎস্ক মিলিশিয়ারা। যৌথ বাহিনীর হামলা আবারো শুরু হয় আজভস্তালে। দুই পক্ষেই হতাহত হওয়া শুরু হয়। তবে যৌথ বাহিনীর তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির শিকার হয় 'আজভ' বাহিনী। ১৬ মে দিনের শুরুতে আজভস্তালে আটকেপড়া বেশ কয়েকজন সেনা আত্মসমর্পণ করে। (দিনের শেষে ইউক্রেন জানায়, মোট ৮০ জন সারেন্ডার করেছে)। তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত ও অসুস্থ ছিল। তারা আত্মসমর্পণের সাথে সাথে জানায়, আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক অন্য সেনাদের ব্যাপারে কথা বলতে চায় তারা। এ ব্যাপারে কিইভের সবুজ সংকেত পেয়েছে তারা। তাদের সাথে আলোচনার ফল পরের দিনই পাওয়া যায়। দনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৭ মে আজভস্তাল স্টিল প্লান্টের আরো ২৫০-এর বেশি সেনা আত্মসমর্পণ করেছে। আহতদের ডিপিআরের টেরিটরিয়াল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টারে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

১৭ মে মোট আত্মসমর্পণ করে ২৫৬ জন। তাদের মধ্যে ৫১ জন আহত ছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। আজভস্তালে আটকেপড়া সেনারা জানিয়েছে, তারা আহত সেনাদেরও বের করে আনতে চায়। রুশ বাহিনী আজভস্তালের চলমান সংঘর্ষে বিরতি টানে; আহতের জন্য একটি বহির্গমন করিডোর খোলে। এ করিডোরের ভিতর দিয়ে আহতদের ডিপিআরের নভোআজভস্কে একটি হেলথ ইনস্টিটিশনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। (এর আগে এক রিপোর্টে ইউক্রেনী পক্ষ জানায়, ১৬ মে ডিপিআরের নভোআজভস্কে ৫৩ জন গুরুতর আহতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর ২১১ জন ইউক্রেইনি সেনাকে হিউম্যানিটারিয়ান করিডোরের মধ্য দিয়ে ডিপিআরের ইয়েলেনোভ্কায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে)।

এর আগে ২১ এপ্রিল রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগুর সাথে মিটিংয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন, মারিউপোলের মুক্তির দিনে, নির্দেশনা দেন আজভস্তালে যেন প্রচণ্ড হামলা চালানো না হয়। বরং আজভস্তালে আটকাবস্থা কঠোর করা হয়, যাতে মাছিও ভেতরে ঢুকতে বা ভেতর থেকে বের হতে না পারে। ৪ মে এক কনফারেন্সে শইগু বলেন, আজভস্তাল নির্ভরযোগ্যভাবে ঘেরাও করা হয়েছে। এটা প্রায় অভেদ্য। এরপর আটকেপড়া ইউক্রেইনের সেনাদের অস্ত্রসমর্পণ করতে বলা হয়। এরপর হামলা করা না হলেও ইউক্রেইনের সেনাদের হামলার উদ্যোগ প্রতিহত করা হয়। সাথে সাথে নব্যনাৎসিদের আত্মসমর্পণ করানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

১৭ মে একজন রুশ মিলিটারি রিপোর্টার বলেন, ১৬ মে পর্যন্ত মারিউপোলের আজভস্তালে আড়াই হাজার ইউক্রেইনি সেনা ছিল। তাদের মধ্যে ৪০৪ জন আহত এবং ৫৫ জন মারাত্মক আহত। ২০০ লাশ রেফ্রিজারেটরে ফ্রোজেন অবস্থায় রয়েছে। তিন জন রুশ যুদ্ধবন্দি ছিল (১ জন অফিসার ও ২ জন সৈন্য)। আটকেপড়াদের মধ্যে ৮০৪ জন আজভ ন্যাশনালিস্ট রেজিমেন্টের সেনা। অন্যরা ৫৩, ৫৪ ও ৫৬ সেপারেট ব্রিগেডের সেনা; আরও ছিল ৩৬ সেপারেট ব্রিগেডের মেরিন সেনা; ৫০১ ও ৫০৩ সেপারেট ব্যাটেলিয়নের সেনা এবং ১২ ব্রিগেডের ন্যাশনাল গার্ডরা, যার মধ্যে আজভ ব্যাটালিয়নের সেনারাও ছিল।

আজভস্তালের পতনকে যুক্তিযুক্ত করার জন্য ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "মেইন ডিরেক্টরেট অব ইন্টেলিজেন্স- এর ব্যবস্থাপনায় জিইউআর, আর্মড ফোর্সেস অব ইউক্রেন (এএফইউ), বর্ডার সার্ভিস, ন্যাশনাল গার্ড, এসবিইউ, ন্যাশনাল পুলিশ ও 'আজভ' আজভস্তাল স্টিল কমপ্লেক্সে আটকেপড়া মারিউপোলের 'ডিফেন্ডারদের' উদ্ধারের জন্য বিশেষ অপারেশন চালিয়েছে। সেই অপারেশন সফল হয়েছে। ইউক্রেইন পক্ষ একথাও বলেছে, উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের সাথে রুশ যুদ্ধবন্দিদের বিনিময় করা হবে। রুশ মিলিটারি অফিশিয়ালরা অবশ্য বিনিময়ের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। রাশিয়ার দুমার স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ ভলোদিন বলেছেন, ইউক্রেইনের সেনাদের সাথে কারো বিনিময়ের প্রশ্নই উঠে না। নাজি ক্রিমিনালদের কোনোভাবেই বিনিময় করা যাবে না। তারা যুদ্ধাপরাধী। তাদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য করণীয় সবকিছুই করা হবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ১৮ মে পর্যন্ত মোট ৯৫৯ জন ইউক্রেইনি সেনা আত্মসমর্পণ করে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তখনো মিথ্যাচার করে যাচ্ছিলেন। রাশিয়া কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেসামরিক লোকজনকে নিষ্ক্রমণ করতে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিল। আজভ ব্যাটালিয়নের লোকজন বরং তাদের কথায় সাড়া দিচ্ছিল না। হিউম্যারিটারিয়ান করিডোর খুলে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয়তাবাদীরা তা কার্যকর করতে বাধা দিয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। বিশ্ববাসী এ ঘটনা দেখেছে। যদিও 'প্রেস্টিটিউট মিডিয়া' তা দেখতে পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কায়েম হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেইনিরা এ কাজ করছে, বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর। তারা এসব করছে মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর পরামর্শে।

১৯ মে পর্যন্ত ১৯০০-এর বেশি ইউক্রেইনি সেনা আত্মসমর্পণ করে। ২০ মে ৫৩১ জনের সর্বশেষ মিলিট্যান্ট গ্রুপ আত্মসমর্পণ করে। সব মিলিয়ে সাড়ে ২৪শ সেনা ও মার্সিনারি আত্মসমর্পণ করে। নাজি আজভ ব্যাটালিয়নের তথাকথিত কমান্ডারকে আজভস্তাল থেকে স্পেশাল আর্মর্ড কারে করে বের করে আনা হয়। কারণ তার ওপর মারিউপোলের নাগরিকরা প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত ছিল। নানা অপকর্মের জন্য তারা তাকে শায়েস্তা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। জনতার হাতে পড়লে কী অবস্থা হতে পারে সে আশঙ্কাতেই তাকে বিশেষ পাহারা দিয়ে বের করে আনা হয়েছিল। এছাড়া আর কোনো উপায় অবশিষ্ট ছিল না।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল অব দ্য আর্মি সের্গেই শইগু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নব্যনাৎসিদের হাত থেকে আজভস্তাল এবং মারিউপোল সিটির মুক্ত হওয়ার কথা জানান। অতঃপর আজভস্তালে প্রায় একমাসের কঠোর অবরোধের অবসান ঘটে। মোট ৬০০ ইউক্রেইনের সেনা আহত ছিল। তাদের মধ্যে ৪০ জন মারাত্মক আহত ছিল।

মারিউপোল বন্দর আজভ সাগরপাড়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর। আজভস্তালকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাওয়ার হাউজ বলা হয়। ইউক্রেইনের অন্যতম বৃহৎ স্টিল মিল। ২০১৪ সালে জাতীয়তাবাদীরা (অর্থাৎ আজভ ব্যাটালিয়ন প্রভৃতি) এর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। তখন থেকে তা নিওনাৎসি আজভ ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টার হয়ে দাঁড়ায়।

আজভস্তাল ১৯৩০ সালে গড়ে তোলা হয়, যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন শিল্পায়ন প্রক্রিয়া (ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন) শুরু করে। এর নিজস্ব বন্দর-কাঠামো আছে। আজভস্তালের আয়তন প্রায় ১১ বর্গকিলোমিটার। সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত আজভস্তালে ১০ হাজার লোক কর্মরত ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের আরো অনেক স্থাপনার মতো আজভস্তালেও বিস্তর অঞ্চল জুড়ে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল ও শেল্টার রয়েছে। যুদ্ধের সময় শ্রমিকদের বিমান হামলা থেকে বাঁচাতে এসব টানেল ও শেল্টার গড়ে তোলা হয়েছিল।

আজভস্তাল স্টিল মিলস রক্ষায় কেন এতো মনযোগ ছিল কিইভের? আজভস্তালে আটকেপড়া-ই সেনাদের সমর্থকরা এবং পরিবারের সদস্যরা কয়েক সপ্তাহ ধরে নিজেরা ক্যাম্পেইন চালাচ্ছিল এবং বিদেশি নেতাদের ও পাবলিক ফিগারদের, যেমন পোপ ফ্রান্সিস, অনুরোধ করছিলেন যেন তারা যেন রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং সেনাদের মুক্তি নিশ্চিত করে। এমনকি ইউরোভিশন সং কনটেস্ট জয়ী ইউক্রেইনি ব্যান্ডকেও একাজে লাগানো হয়েছিল। মিউজিক ইভেন্টের রুলস ভায়োলেট করেই একাজ করা হয়েছিল। আজভস্তাল গ্যারিসনকে রক্ষা করার জন্যই একাজ করা হয়েছিল। সেনাদের স্ত্রীদেরও একাজে লাগানো হয়েছিল। আজভস্তালের আটকেপড়া সেনারা তৃতীয় কোনো দেশের, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছিল তাদের মুক্তির ব্যাপারে দেনদরবার করার জন্য। রাশিয়া কিছু অর্গানাইজেশনকে যেমন জাতিসংঘ ও রেডক্রসকে অনুমোদন দিয়েছিল বেসামরিক নাগরিকদের বের করে আনার ব্যবস্থা করতে। মে-র ৭ তারিখে বেসামরিক নাগরিকরা সবাই ছাড়া পায়। প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল মে এর ১ তারিখে। ছাড়া পাওয়া নাগরিকদের একাংশ ডিপিআর-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এবং বাকী অংশ কিইভের দিকে যায়। ২১ মে ঘোষণা দেওয়া হয়: 'আজভস্তাল ইজ আন্ডার ফুল কন্ট্রোল অব রাশিয়ান আর্মড ফোর্সেস।'

ঘোষণায় বলা হয় : "দ্য রাশিয়ান মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স কনফার্মড দ্যাট অল দ্য ইউক্রাইনিয়ান মিলিট্যান্টস সারেন্ডার্ড ফ্রম দ্য টেরিটরি অব দ্য আজভস্টাল মেটালারজিক্যাল প্লান্ট ইন মারিউপোল, হোয়ার আ গ্রুপ অব ইউক্রাইনিয়ান মিলিট্যান্টস অব দ্য নাজি ফর্মেশন 'আজভ' হ্যাজ বিন ব্লকড সিন্স এপ্রিল ২১ দিস ইয়ার, হ্যাজ বিন কমপ্লিটলি লিবারেটেড।"

মে মাসের ১৬ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত অভিযানকালে ২হাজার ৪৩৯ জন নাজি এবং এএফইউ সার্ভিসমেন আত্মসমর্পণ করেছে। আজভ রেজিমেন্টের কমান্ডার দানিস প্রকোপেঙ্কো স্বীকার করেছেন, আজভস্তালের প্রতিরোধ সমাপ্ত হয়েছে। ১৯ মে আজভ ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমান্ডার স্ভিয়াতস্লাভ পালামার ওরফে কালিনা আত্মসর্মণ করেন। ১৮ মে সন্ধ্যায় তিনি আজভস্তাল ত্যাগ করেন। এএফইউ এর ৩৬ মেরিন ব্রিগেডের কমান্ডার সের্গেই ভলিন্স্কি ওরফে ভলিনাও ওইদিন আজভস্তাল ত্যাগ করেন।

আজভস্তাল মুক্ত হওয়ার পরও এর কোনাকাঞ্চিতে নব্যনাৎসিদের কেউ থেকে গিয়েছে কিনা তা দেখার জন্য চিরুনীতল্লাশি চালানো হয়েছে। ২৬ মে প্রাভদা.আরইউ- এর খবরে বলা হয়েছে, ডিপিআরের মিলিশিয়ারা আজভস্তালে লুকিয়ে থাকা বেশ কয়েকজন ইউক্রেইনের সেনাকে খুঁজে পেয়েছে। ডিপিআরের প্রধান দানিস পুশিলিন ঠিক কতজন সৈন্যকে পাওয়া গেছে তা জানাননি, তবে বলেছেন, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অস্থায়ী একটি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে (জায়গার নাম উল্লেখ করেননি)।

পুশিলিন বলেন, "We do not know whether someone else could be staying there, we need to thoroughly check every nook of Azovstal, which is a huge territory …. The People's Militia of the Donetsk People's Republic will continue clearing the territory of the plant of bombs and explosives. All soldiers of the Armed Forces of Ukraine (AFU), if found, will be detained and convoyed away."

এখন দনেৎস্ক ও লোগানস্ক পিপলস রিপাবলিকে ৮ হাজার ইউক্রেইনি সেনা (আজভস্তাল থেকে আটক প্রায় ২৫০০ সেনাসহ) আটক রয়েছে। এদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আরেক খবরে বলা হয়েছে, মারিউপোল বন্দর ও আশপাশ মাইনমুক্ত করা হয়েছে এবং বাণিজ্যিক যোগাযোগের জন্য বন্দরকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। হেন্স আজভস্তাল সাগা ইজ এন্ডেড।