একজন ডিগ্রিহীন গবেষকের কথা

মুহাম্মদ শামসুল হক
Published : 26 Oct 2020, 07:24 AM
Updated : 26 Oct 2020, 07:24 AM

আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা হলো কোনো বিষয়ে গবেষণা বা ইতিহাস চর্চা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দেশি-বিদেশি কোনো স্বীকৃত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পিএইচডি জাতীয় ডিগ্রি থাকতে হবে। কিন্তু উচ্চশিক্ষা তো দূরের কথা নিম্নমাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরিয়েও যে সমাজ-সংস্কৃতি বা ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করে জাতীয় ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করা যায়, ডিগ্রিধারী গবেষকদের জন্য গবেষণার খোরাক যোগানো যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত চট্টল তত্ত্ববিদ আবদুল হক চৌধুরী।

বাংলা একাডেমি প্রকাশিত চারটিসহ তার ১২টি গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এসব গ্রন্থে চট্টগ্রামের বহু প্রাচীন কীর্তি ও নিদর্শনের পরিচিতিমূলক বিবরণ, চট্টগ্রামের মুসলমানদের লৌকিক আচার-অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, পাঁচ শতাধিক কবি সাহিত্যিক-গবেষকের পরিচিতি, প্রাত্যহিক জীবনের ওপর নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক গবেষণা, চট্টগ্রাম ও আরাকানের রাজনৈতিক-সামাজিক ইতিহাস ইত্যাদি প্রকাশ পেয়েছে। চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেটের একটি ঐতিহাসিক যোগসূত্রের সন্ধান করছিলেন আবদুল হক চৌধুরী। তাই তিনি ১৯৭৩-৭৭ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় সিলেট অঞ্চলে ঘুরে বহু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে 'সিলেটের ইতিহাস প্রসঙ্গ (১৯৮১), নামে একটি গ্রন্থও লিখেছেন।

তার অন্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে : চট্টগ্রামের ইতিহাস প্রসঙ্গ (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৭৬), চট্টগ্রামের চরিতাভিধান (১৯৭৯), চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি (১৯৮০), শহর চট্টগ্রামের ইতিকথা (১৯৮৫), চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতির রূপরেখা (১৯৮৮, বাংলা একাডেমি), চট্টগ্রাম-আরাকান (১৯৮৯), চট্টগ্রামের ইতিহাস বিষয়ক প্রবন্ধ (১৯৯২), প্রাচীন আরাকান রোইঙ্গা হিন্দু ও বৌদ্ধ বড়ুয়া আধিবাসী, (১৯৯৪, বাংলা একাডেমি), বন্দর শহর চট্টগ্রাম (১৯৯৪, বাংলা একাডেমি), প্রবন্ধ বিচিত্রা (১৯৯৫ বাংলা একাডেমি)।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের ইতিহাস প্রসঙ্গ ও চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণির সহায়ক বই হিসেবে তালিকাভুক্ত। তার বহু প্রবন্ধ নিবন্ধ সাক্ষাৎকার পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বেতারের বেতার কথিকা লেখক ও বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবেও তার সুনাম ছিল।

আবদুল হক চৌধুরী সম্পর্কে শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জমান লিখেছেন, 'আমি আবদুল হক চৌধুরী সাহেবের চট্টগ্রামের ইতিহাস প্রসঙ্গ যখন পড়ি, তখন খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমি এর ছোটখাট প্রশস্তিমূলক আলোচনাও তখন করি, তারপর তার সাথে আমার পরিচয় হয় এবং অন্যান্য রচনা সম্পর্কে আমি জানি।

…….. ইতিহাসের উপাদান সমাজের নানা স্তরে ছড়িয়ে থাকে, নানা কিছুর মধ্যে। এই সম্পর্কে আবদুল হক চৌধুরী যে সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন সেটা এক হিসেবে আমাদের বিশ্বাস জাগ্রত করে। তার কারণ, এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খুব বেশি ইতিহাস আমাদের দেশে লেখা হয়নি।'

কলকাতার দেশ পত্রিকায় ৪৯ বর্ষ মে-১৯৮২ সংখ্যায় সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ আবদুল হক চৌধুরীর চট্টগ্রামের সমাজ ও সংস্কৃতি বইটির প্রশংসা করে লিখেছেন, 'এ তো একটা সাংস্কৃতিক মহাফেজখানা গড়ে তুলেছেন ভদ্রলোক। কি বিশাল, বিস্তারিত এবং শ্রেণীবদ্ধ মহাফেজখানা। চৌদ্দটি পরিচ্ছেদে চট্টগ্রামের মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাবৎ আচার-অনুষ্ঠান, বিশ্বাস, আদর্শ, জীবনযাপন পদ্ধতি এবং লৌকিক-অলৌকিক যা কিছু বেঁচে থাকার জন্য জরুরি-সবই সাজিয়ে দিয়েছেন। সংস্কৃতির অর্থ যে কত ব্যাপক, এভাবেই তার সম্যক উপলব্ধি হতে পারে। মানুষ যে মূলত সাংস্কৃতিকভাবেই বাঁচে এবং তার অস্তিত্বগত অনন্যতা একান্তভাবে সাংস্কৃতিক, একথা সঠিকভাবে বোঝাবার জন্য এ ধরনের বই অর্থাৎ এমন একটা সাংস্কৃতিক এনসাইক্লোপিডিয়া জরুরি। এর সঙ্গে ইতিহাসের তথ্য থাকলে তো মনিকাঞ্চনযোগ্য।'

বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ইতিহাসবিদ ড. আবদুল করিমের 'আবদুল হক চৌধুরী ও তার গবেষণাকর্ম' গ্রন্থেও আবদুল হক চৌধুরীর কাজের নানা দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। বাংলা একাডেমি প্রকাশিত 'আবদুল হক চৌধুরী রচনাবলি ২য় খণ্ডে'র মুখবন্ধে ড. আবদুল করিম লিখেছেন, 'আবদুল হক চৌধুরী একজন কৃতি গবেষক, ঐতিহাসিক এবং সমাজবিজ্ঞানী। চট্টগ্রাম-আরাকান-সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্যই ছিল তার গবেষণার ক্ষেত্র। তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তিনি নতুন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রেখে গেছেন তার অমূল্য কীর্তি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও যে মানুষ স্বীয় অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফলে কীর্তিমান ও যশস্বী হতে পারেন, আবদুল হক চৌধুরী তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনি ছিলেন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের অনুসারী। সাহিত্যবিশারদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী না হয়েও তাদের গবেষণার উপকরণ সংগ্রহ করে দিয়েছেন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আবিষ্কার করেছেন এবং অনেক প্রাচীন কবির সন্ধান দিয়েছেন। আবদুল হক চৌধুরীও প্রথমে প্রাচীন পুথি সংগ্রহে লিপ্ত হন এবং প্রাচীন পুথিচর্চা করতে করতেই তিনি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সমাজ-সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হন।'

কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আবদুল হক চৌধুরীকে নূতন চন্দ্রসিংহ স্মৃতি পরিষদ, গ্রুপ থিয়েটার সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘসহ বেশ কিছু সংগঠন পদক ও সংবর্ধনা দিয়েছে। ২০১৩ সালে সরকার তাকে স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করে।

শুরুতেই বলেছি পড়ালেখায় অষ্টম শ্রেণির গণ্ডি পেরোতে পারেননি। এ সম্পর্কে তার নিজের লেখা থেকে উদ্ধৃতি– 'বাল্যকাল থেকেই আমি ছিলাম রোগা। বছরের ছয় মাস কাল আমি পেটের কামড়িতে শয্যাগত থাকতাম। তাই আমাকে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল প্রায় ৯ বছর বয়সে। স্বগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী পাস করার পর পার্শ্ববর্তী ডাবুয়া মধ্য ইংরেজি স্কুলে দু'বছর লেখাপড়া করি। এই সময় আমি মাসিক 'মোহাম্মদী' ও মাসিক 'বুলবুল' পত্রিকার গ্রাহক হয়েছিলাম। অতঃপর ১৯৩৮ সালে রাউজান হাইস্কুলে ভর্তি হই এবং রীতিমতো পড়াশুনা করি। ষান্মাষিক পরীক্ষা দিয়ে বোনের বিয়ে উপলক্ষে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বাড়িতে আসি। বিয়ের এক সপ্তাহ পর ১৯৪০ সালে ৩ অক্টোবর তারিখে আমার পিতা পরলোক গমন করেন। অষ্টম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা আর দেওয়া হলো না। পিতার মৃত্যুর পর এক মাসের মধ্যে বিষয় সম্পত্তির ঝামেলায় পড়তে হল। গ্রাম্য টাউট টন্নিরা আমাকে দুটি দেওয়ানী মোকদ্দমায় জড়িয়ে ফেলে। ফলে আমার লেখাপড়ার এখানেই ইতি হল।'

আবদুল হক চৌধুরীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন উল্লেখ করার মতো না হলেও পাঠাগার ও অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করে বই পড়ার অদম্য আগ্রহ ছিল তার। রাউজান উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রীশচিন্দ্র চৌধুরী এবং গ্রন্থাগারিক সারদা চরণ চক্রবর্তীর অনুপ্রেরণায় তিনি নিয়মিত পাঠাগারে গিয়ে বই পড়তেন। ১৯৪২ সালে তার বাবার স্থপিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিয়ে ৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর শিক্ষকতা করেন। এ সময় তিনি রাউজান, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি থানার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে রাজা-বাদশাহদের আমলের স্মারক নিদর্শনের পরিচিতি এবং এ ব্যাপারে কিংবদন্তি সংগ্রহ শুরু করেন। একই সঙ্গে বয়স্ক নারী পুরুষদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে স্থানভেদে মানুষের বর্তমান আচার-আচরণ ও প্রাচীন আমলের কথা জেনে নিতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববার স্থানীয় 'মোহাম্মদ ডাক্তার মেমোরিয়াল লাইব্রেরি' থেকে প্রচুর পুরোনো পত্র-পত্রিকা ও বই সংগ্রহ করে এনে পড়তেন।

আবদুল হক চৌধুরীর গবেষণা কর্মের ব্যাপারে অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিলেন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ। ১৯৪৩ সালে চিঠি বিনিময়ের মাধ্যমে সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে তার পরিচয়। ৪৪ সালে সাহিত্যবিশারদ এক চিঠির মাধ্যমে তার গ্রাম সূচক্রদণ্ডীতে যাবার আমন্ত্রণ জানান। সেখানে সাহিত্যবিশারদের কথা ও কাজের নানা দিকে আবদুল হক চৌধুরীর মনে দাগ কাটে।

পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বেশ ক বছর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কিন্তু তাতে তেমন সফল হতে পারেননি। ব্যবসার বাইরে মূলত পড়ালেখা ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের দিকে তার মনোনিবেশ ছিল বেশি।

লেখালেখিতে তার প্রথম হাতেখড়ি স্বাধীনতার পর ড. আহমদ শরীফের সহযোগিতায় ইতিহাস পত্রিকার ৫ম বর্ষ ১-৩ সংখ্যায় (১৩৭৮ বাংলা) তিন খানা চিঠি প্রকাশের মাধ্যমে। বিষয় ছিল 'বার ভূঁঞা প্রধান ঈশা খাঁ সম্পর্কে নতুন তথ্য'। এ বিষয়ে আবদুল হক চৌধুরী লিখেছেন, '১৯৬৯ সালে বড় ছেলে ঢাকায় আইন পড়তে যায়, মেজ ছেলে আহমদ আমিন বিএ পাশ করে পুলিশ অফিসারের চাকুরীতে যোগদান করে রাজশাহী সারদায় ট্রেনিং-এ যায়। এ সময় কাজ উপলক্ষ্যে ঢাকা গেলে ডক্টর আহমদ শরীফ সাহেবের সাথে দেখা করি। তিনি আমাকে বলেন, এবার লেখালেখি আরম্ভ করুন। আমার অক্ষমতার কথা জানালে তিনি বলেন আপনি লিখুন, আমি দেখে দেব প্রয়োজন হলে। ১৯৭০ সালে তিনি একখানি চিঠিতে বলেন যে, বার ভূঁঞা প্রধান ঈসা খাঁ সম্পর্কে চট্টগ্রামে প্রাপ্ত তথ্যগুলো চিঠির আকারে আমাকে লিখুন 'ইতিহাস' পত্রিকায় ছেপে দেব। আমি মোট তিনখানি চিঠিতে যাবতীয় তথ্য তাকে লিখে জানাই। তিনি "বার ভূঁঞা প্রধান ঈসা খাঁ সম্পর্কে নতুন তথ্য" শিরোনামে এক মুখবন্ধ লিখে ১৯৭১ সালে ঢাকা "ইতিহাস" পত্রিকায় ছাপতে দেন আমার চিঠি তিনখানি। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রাম আরম্ভ হওয়ায় "ইতিহাস" পত্রিকা ছাপা হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর "ইতিহাস" এর ৫ম বর্ষ ১-৩ সংখ্যা ১৩৭৮ বাংলায় প্রকাশিত হয়। এ তিনখানি চিঠিই আমার লেখক জীবনের হাতে খড়ি বলা যায়।' (আবদুল হক চৌধুরী ও তার গবেষণা কর্ম পৃষ্ঠা-৫) ৭২ সাল থেকে শুরু করে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিরামহীনভাবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখে গেছেন তিনি।

তবে শুরুর দিকে স্থানীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকাগুলো আবদুল হক চৌধুরীর লেখাকে তেমন গুরুত্ব দিতে চায়নি। পরে এক সময় তার বাসায় পর্যন্ত লোক পাঠিয়ে লেখা এনে ছাপা হতো সংশ্লিষ্ট পত্রিকায়। ১৯৮৮ সালে তার দেওয়ান বাজার ডিসি রোডের বাসায় এক সাক্ষাতে তিনি আমাকে একথা জানিয়েছিলেন। আমি স্মরণ করি, তিনি আমাকেও ছড়া-কবিতার চাইতে ইতিহাস আশ্রয়ী লেখালেখির ব্যাপারে উৎসাহিত করেছিলেন।

২০০৮ সালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আবদুল হক চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় ড. মুনতাসীর মামুনের দেওয়া বক্তব্যের কিছু উদ্ধৃতি দিয়ে এ লেখা শেষ করতে চাই। 'আমাদের দেশে যাঁরা শিক্ষকতা করেন, তাদের অনেকেই ভাবেন তারাই সব জানেন। যাঁরা লেখালেখি করেন তাদের অনেকেই লেখেন দুর্ভেদ্য ভাষায়। কিন্তু আবদুল হক চৌধুরীর মতো গবেষকরা মানুষের অন্তরে পৌঁছানোর জন্য লিখেন অত্যন্ত সরল ও সাবলীল ভাষায়। গবেষণা কর্মের সব রীতি ঠিক রেখে ইতিহাস রচনা করে তিনি হয়ে উঠেছেন মহান। তিনি যখন যাঁর সহযোগিতা নিয়েছেন তার গ্রন্থে সেসব ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। এতে করে তিনি খাটো হননি মোটেই, হয়েছেন অনন্য-অসাধারণ। জনগণ আজও তাকে স্মরণ করছে শ্রদ্ধাভরে।' আবদুল হক চৌধুরীর জন্ম ১৯২২ সালের ২৪ আগস্ট রাউজান থানার নওয়াজিশপুর গ্রামে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। ১৯৯৪ সালের ২৬ অক্টোবর ৭২ বছর বয়সে এই গুণী লেখক-গবেষক মারা যান।