মার্কিন গণতন্ত্র সম্মেলন: মানবাধিকার ও দুর্নীতি-অর্থপাচার প্রসঙ্গ

মঞ্জুরে খোদামঞ্জুরে খোদা
Published : 18 Feb 2012, 02:58 PM
Updated : 27 Jan 2022, 02:41 PM

ম্যাগনিটস্কি আইন

২০০৯ সালে মস্কোর কারাগারে রাশিয়ার কর আইনজীবী সার্গেই ম্যাগনিটস্কি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যবরণ করেন। এ হত্যার জন্য দায়ী রুশ কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ম্যাগনিটস্কি মৃত্যুর জবাবদিহি সংক্রান্ত এক খসড়া আইনের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ওই বছর ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি ওবামা তাতে স্বাক্ষর করে বিষয়টি আইনে পরিণত করেন। রুশ কর্মকর্তাদের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের এক বিপুল কর জালিয়াতির তথ্য প্রকাশকারী ম্যাগনিটস্কির সম্মানে এই আইনের নামকরণ করা হয়।

২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই আইন ব্যবহার করছে। এই আইনের আওতায় তাদের ঘোষিত নিষিদ্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ছাড়াও সেই সব নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকারও হরণ করা হয়। ম্যাগনিটস্কি অ্যাক্ট বলতে এমন এক আইনকে বোঝায় যার মাধ্যমে বিদেশি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়। এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ওপরই আরোপ করা হয় যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত।

এই আইনের মাধ্যমে কোনও দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সবার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে ব্যক্তির ওপর দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় দেয়া হয়। সে কারণে বাংলাদেশের পুরো র‍্যাবকে দায়ী না করে– কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের এই বিধান অনুসরণ করে পরবর্তীতে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ অনুরূপ আইন প্রণয়ন করে।

বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলন ও ম্যাগনিটস্কি আইন 

জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে বৈশ্বিক গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজন করবেন। সেখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দুর্নীতি, আইনের শাসন, নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। এমনকি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রভাব যেন গণতন্ত্র ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় হুমকি না হয়, তাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।  সেই লক্ষ্যে ৩৮ পৃষ্ঠার একটা গাইডলাইনও (United States Strategy on Countering Corruption) প্রকাশ করা হয়।

ডিসেম্বরের ৯১০ তারিখে 'সামিট ফর ডেমোক্রেসি'-এর আলোচ্যসূচি ছিল;

১। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং কর্তৃত্ববাদ প্রতিহত করা

২। দুর্নীতি চিহ্নিত ও প্রতিহত করা

৩। মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ইতিবাচক প্রচারণা

যুক্তরাষ্ট্র কেন উন্নয়নশীল দেশগুলোর দুর্নীতি-মানবাধিকার নিয়ে এত উদ্বিগ্ন? তাদের বক্তব্য, বিশ্বের দেশে দেশে দারিদ্র কমিয়ে আনা ও তাদের জীবনমানের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সাথে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটি পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত। তাই তারা এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে বদ্ধপরিকর।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য, বিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি হুমকির মুখে। সরকারের ওপর জনগণের অবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে অবজ্ঞা করে এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী শাসক ও নেতৃত্বের উত্থান ঘটছে।

তার আলোকে এই সম্মেলনে ৫টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে তাদের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করেন; ১। দুর্নীতি প্রতিরোধ ২। গণতান্ত্রিক সংস্কার ৩। প্রযুক্তিকে গণতন্ত্রের স্বার্থে ব্যবহার ৪। স্বাধীন নির্বাচন ও  ৫। কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে অবস্থান। এ জন্য ৪২৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করা হয় যদিও এ অংক খুবই সামান্য।

বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কিন্তু এ সম্মেলনের পরপরই মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র‍্যাবের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই আইনে ২০১৮ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দু'টি ডিভিশনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কোনও বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হলে পশ্চিমা দেশগুলোতে তাদের ভূমিকা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

ম্যাগনিটস্কি, দুর্নীতি-অর্থপাচার ও বাংলাদেশ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অনেক দেশের অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং পরিবারের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যারা দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থপাচারের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হলে সে চিত্র হবে অন্যরকম। তারা যখন অভিযুক্তদের অর্থের উৎস জানতে চাইবেন সেটা হবে এক যুগান্তকারী ঘটনা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে যারা অর্থসম্পদ পাচার করেছেন তাদের ক্ষেত্রে।

পাচারকৃত অর্থ বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে রিয়েল এস্টেট। এক তথ্যে জানা যায়, এ খাতে নগদ অর্থের বিনিয়োগ প্রায় ৩০ শতাংশের ওপরে। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে এর দাম দ্রুত বাড়ছে এবং জায়গাভেদে তা কয়েকগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এই মহাদুর্যোগেও তা থেমে নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজদের নগদ বিনিয়োগের অনেক তথ্য জানা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের অর্থসম্পদ বাজেয়াপ্ত বা স্থগিত হলে কারা লাভবান হবে? সেটা নির্ভর করছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শাসকের অবস্থান কী তার ওপর। একই সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থের ওপর।

ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট (জিএফআই) প্রতিবছরই অর্থপাচার বিষয়ে গবেষণামূলক রিপোর্ট-প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে প্রতিবেদনে দেখা যায় বাংলাদেশ হচ্ছে অর্থপাচার হওয়া তালিকার প্রথম দিকে থাকা একটি দেশ। বাৎসরিক গড় হিসেবে এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। আর এই পাচারকৃত অর্থের একটি প্রধান গন্তব্য খোদ যুক্তরাষ্ট্র। এসব অর্থ পাচারকারীদের মধ্যে আছে সরকারি আমলা, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীরা।

গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি অ্যাক্ট শাসকের জন্য অভিশাপ-দুঃসংবাদ হলেও বাংলাদেশের অভিযুক্ত অর্থ পাচারকারীদের জন্য অশনি সংকেত। এ আইন বিশ্বব্যাপী আরো বিস্তৃতভাবে কার্যকর শুরু হলে তাদের সেই অবৈধ পাচারকৃত অর্থসম্পদ সুখ-শান্তির বদলে হবে এক ভয়ঙ্কর বিপদ। তারা কি একবারও সে কথা ভেবে দেখেছেন? বাংলাদেশের মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে, তাদের অর্থ লুটপাট করে পশ্চিমের কোনও উন্নত দেশে পরিবার নিয়ে প্রজন্মান্তর নিরাপদে বসে খাবেন সে দিন বুঝি ফুরিয়ে আসছে। আর দেশে দেশে অর্থপাচার ও লুটেরাবিরোধী যে আলাপ-আন্দোলন গড়ে উঠছে, এসব দেশও আর এগুলো নিয়ে নিরব-নির্বিকার থাকতে পারবে না।

বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের প্রধান গন্তব্য হচ্ছে, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ। এ সবকটি দেশেই এই আইন পাশ করা হয়েছে। এখন তা কার্যকরের পালা। শুধু মানবাধিকারের জন্য নয়, অর্থপাচারের জন্যও তাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে এ উদ্যোগ ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

বাংলাদেশের অর্থপাচারকারীরা কি তাহলে তাদের গন্তব্য পরিবর্তন করবেন? কিন্তু সেখানেও যে এমন বিপত্তি ঘটবে না সে কথা কি বলা যায়? কারণ সমগ্র বিশ্বই আজ পারস্পরিক স্বার্থের সুতোয় বাধা।

কানাডায় এ আইন কার্যকরের তাগিদ

গতবছরের ডিসেম্বরে তথ্যচিত্র নির্মাতা, লেখক, মানবাধিকার কর্মী মার্কাস কোলগা টরন্টো স্টারে কানাডা সরকারের সমালোচনামূলক এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, ম্যাগনিটস্কি আইন বাস্তবায়নে কানাডার ব্যর্থতার ফলে বিশ্ব মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলবে। কানাডার ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলে, পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বহিরাগত দুর্নীতিবাজ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের রুখতে ব্যর্থতার দায়ে অভিযুক্ত হবে।

২০১৭ সালে, কানাডা নতুন ম্যাগনিটস্কি তালিকায় ৫২ জনের নাম ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে সের্গেই ম্যাগনিটস্কির আটক ও হত্যার জন্য দায়ী রাশিয়ান কর্মকর্তারা, সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ১৭ সৌদি নাগরিকের একটি দল রয়েছে। এছাড়া এ তালিকায় আর কোনও নাম যোগ হয়নি।

তিনি বলেন, ইইউ, অস্ট্রেলিয়া,  আমেরিকার সাথে কানাডাকে মানবাধিকার বাস্তবায়ন ও উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। মিত্রদের সাথে নিষেধাজ্ঞার তালিকার সমন্বয় করে অপরাধীদের শনাক্ত করতে হবে এক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ এবং আইন প্রয়োগকারী ব্যবস্থাগুলিকে শক্তিশালী করতে হবে। তারমানে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ভেতর থেকেই এই আইন দ্রুত কার্যকর করার তাগিদ তৈরি হচ্ছে।

মানবাধিকার, দুর্নীতি না অন্য কোনও সমীকরণ?

দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরোষ্ট্রের নেতৃত্ব মানবাধিকার লঙ্ঘন ও একদলীয় শাসনের জন্য চীনের সমালোচনা করে আসছেন। তাদের তীব্র সমালোচনা ও বৈরীতা সত্ত্বেও চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব অব্যাহত রয়েছে। যা মার্কিন প্রশাসনের একটা বড় মাথাব্যথার কারণ। চীন তার রাজনৈতিক প্রভাব এশিয়া, আফ্রিকা, এমনকি ইউরোপের দেশ অবধি বিস্তার করেছে। এ সব দেশে কার্যত কর্তৃত্ববাদী ও এককেন্দ্রীক শাসকের প্রাধান্য বিদ্যমান। চীনের সাথে তাদের মাখামাখি যুক্তরাষ্ট্র ভালভাবে নিচ্ছে না। তাদের সেই প্রভাব বলয় থেকে ফিরিয়ে আনতে, চীনের কর্তৃত্ব খর্ব ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে মার্কিনীদের এই গণতন্ত্র সম্মেলন। মার্কিন শাসকরা তাদের প্রয়োজনে যখন যেখানে যে ধরনের বক্তব্য ও ব্যবস্থা দরকার তখন সেটাই করেছে। এখনো তাই করছে, নতুন কিছু নয়।

গণতন্ত্রের কথা বলে, বিভিন্ন দেশের স্বাধীনচেতা জাতীয়তাবাদী নেতাদের উৎখাতে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছেন। সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার বিরুদ্ধে যখন ইসলামি মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের দরকার ছিল তখন সেটাকে তারা ব্যবহার করেছেন। মানবাধিকারের কথা বলে বিশ্বের দেশে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। নিরস্ত্রীকরণের কথা বলে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছেন। মিথ্যা তথ্যপ্রচার করে অনেক জনপদ ধ্বংস করেছেন। লাখ লাখ মানুষ হত্যা, কোটি কোটি মানুষকে উদ্বাস্ত করেছেন, অভুক্ত রাখছেন। এখনো বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সে কাজ করে যাচ্ছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অজস্র অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের মুখে বিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা মায়াকান্না ছাড়া কিছু নয়। এগুলো মূলত কথিত এজেন্ডার আড়ালে ভূ-রাজনীতির নানা ইস্যু-বিষয়।

মার্কিন সরকারের অনেক স্ববিরোধীতা ও সমালোচনা থাকলেও তারা তাদের গৃহীত নীতিতে অগ্রসর হবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের আকাঙ্ক্ষা অর্জনে নানা ধরনের চাপও প্রয়োগ করবে, কৌশল নেবে। তাদের অপছন্দের তালিকায় থাকা শাসকরাও নিজেদের অবস্থান-কৌশল ঠিক করবেন। মানবাধিকার ও দুর্নীতির বিষয়টি সরাসরি কর্তৃত্বপরায়ণ শাসকের স্বার্থ ও ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত। এগুলো অনেকটা মুদ্রার এপিট-ওপিঠ।

পত্রিকায় সংবাদ দেখলাম, র‍্যাবের কতিপর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর নতুন করে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি। সেটা যদি যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কারণে হয় তাহলে বলতে হয় সেটা তাদের গৃহীত আইন ও কৌশলের জয়। এবং শাসক ও শাসনের অবস্থার কিঞ্চিত গুণগত পরিবর্তন। একই ভাবে অর্থসম্পদ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা হবে জাতীয় স্বার্থের জন্য ইতিবাচক। গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি অ্যাক্টের আওতায় থাকা পশ্চিমা দেশগুলোকেও বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।