শুভ জন্মদিন মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের পলিমাটিতে মানুষ হওয়া শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন সাফল্যের স্বর্ণচূড়ায়। একজন মমতাময়ী মায়ের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি চিন্তায় দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।

সৈয়দ হুমায়ুন আখতারসৈয়দ হুমায়ুন আখতার
Published : 27 Sept 2022, 05:35 PM
Updated : 27 Sept 2022, 05:35 PM

শৈশবে নদীর স্বচ্ছ পানিতে জোড়া নারকেল ভাসিয়ে অথবা কলাগাছ ফেলে সাঁতার কাটতেন এক কিশোরী, শীতের দিনে নদীর উষ্ণ পানিতে পা ভেজাতেন। এই চঞ্চলা মনের মানুষটি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের বাইগার নদীর তীর ঘেষে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন। কালের পরিক্রমায় শ্বাপদসংকুল পথ পেরিয়ে সেই কিশোরী আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি আজ বাবার মতোই বিশ্বের পরাক্রমশালী দেশগুলোর নেতাদের কাছ থেকে সমীহ আদায় করে নিয়েছেন, পেয়েছেন জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ এবং ‘ভ্যাকসিন হিরো’ খেতাব। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নশীল দেশের মযার্দায় উন্নীত হয়েছে। ২০ বারের বেশি হত্যাচেষ্টার শিকার এই শেখ হাসিনাই- না থমকে গিয়ে, নির্ভীক চিত্তে অদম্য গতিতে বাংলাদেশকে রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানটি’, দেশরত্ন শেখ হাসিনা, যার কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন আমাদেরকে বিস্মিত করে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সর্বংসহা নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান তিনি।

বাবা ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি আর এ উপমহাদেশের সেরা রাজনীতিবিদ। মা-ও ছিলেন সক্রিয়। সেই পরিবারে নিজের শৈশব-কৈশোর এবং বাবার বারবার জেলখানায় বন্দিদশা শেখ হাসিনার শিশুমনেই তৈরি করেছিল যেকোনও পরিস্থিতিতে দৃঢ় থাকার মানসিকতা। তৈরি করেছিল- রাজনৈতিক অভীপ্সা পূরণের জন্য কণ্টকময় পরিস্থিতিতেও এগিয়ে চলার মানসিকতা। বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ১৯৬২ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। আজিমপুর গার্লস স্কুল থেকে তার নেতৃত্বেই মিছিল গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে গভর্নমেন্ট ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে ভোটের মাধ্যমে সহ সভাপতি নিবার্চিত হয়েছিলেন।

ঊনসত্তুরের গণ-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, ছয় বছর তাকে দেশে ফিরতে দেয়নি ঘাতকের দল ও তাদের দোসররা। মা-বাবা-স্বজন হারিয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে দেশের প্রতি তীব্র ভালবাসার টানে ১৯৮১ সনের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। দেশ মাতৃকার উন্নয়নে পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নিজেকে নিবেদিত করেন।

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন এবং দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। অতঃপর দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আপামর জনসাধারণের কাছে হয়ে ওঠেন ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’।

তার মেধা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক  দৃষ্টিভঙ্গি তাকে  পরিচিত করেছে এক সফল রাষ্টনায়ক হিসেবে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ ডলার করার পাশাপশি খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসে উপমহাদেশে সবোর্চ্চ স্থান দখল করে, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী শিক্ষায় প্রতিবেশী দেশের তুলনায় এগিয়ে গিয়ে- গত এক যুগে বাংলাদেশ জাগিয়েছে পৃথিবীর বুকে বিস্ময়। পুরোধা তো শেখ হাসিনাই।

তার নেতৃত্বে এক যুগে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, ঢাকা মহানগর উড়াল রেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, শতবর্ষ মেয়াদী ডেল্টা প্লান, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করা এবং সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর বিনামূল্যে বই প্রদান, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন্স নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে দেশকে তিনি জাতিসংঘের এমডিজি পুরস্কার এনে দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রথম যখন বাংলাদেশে টিকা দেওয়া শুরু করে, সে সময় বিশ্বের ১৩০টি দেশ টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি। কোভিড-১৯ আরোগ্য সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। বছরের প্রথম দিন সকল শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার উদ্যোগ শেখ হাসিনারই। নানা প্রতিকুলতা সত্ত্বেও ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুকে দেশবাসীর কাছে উপহার দেওয়ার উদ্যোগও তারই। তাছাড়াও সমুদ্র জয় হয়েছে তারই নেতৃত্বে। এমন আরও শত শত নব উদ্যোগের উদাহরণ দেওয়া যাবে। যা এই স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করা দুঃসাধ্য। তার এসকল উদ্ভাবনী  কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘নিউজউইক’ পত্রিকা, শেখ হাসিনাকে বিশ্বের ১০ জন ক্ষমতাধর ব্যক্তির অন্যতম বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।  

বিশ্বনন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা ও অনুপ্রেরণায় ইউনেস্কোর তালিকায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতিসহ ক্রিকেট বিশ্বের সাফল্য পেয়েছে। ফুটবলেও সাফল্যে মুকুট ছিনিয়ে এনেছে বাংলার নারীরা, হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়ান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সাহিত্যমোদীও। তার নিজের লেখার হাত চমৎকার। ৪০টির কাছাকাছি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’। এছাড়াও ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ প্রকাশ করে জাতির কাছে তুলে ধরেছেন জাতির পিতার সংগ্রামমুখর জীবনের প্রামাণ্য দলিল।

একজন সংস্কৃতিবান্ধব মানুষ শেখ হাসিনা। তিনি ছায়ানটে বেহালা শিখেছিলেন, ভালো ছবি আঁকতে পারতেন। তিনি আপাদমস্তক একজন মানবিক এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তিত্ব। আর তাই শিক্ষককে লাল গালিচা ছেড়ে দেন এবং শিক্ষকের গায়ের চাদর ঠিক করে দেন। মঞ্চ থেকে শিক্ষককে সালাম দেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন ৩৫ এর কাছাকাছি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। সন্তানের নামের পাশে পিতার পাশাপশি মায়ের নাম জুড়িয়ে দেবার উদ্যোগ তারই।

দেশের অভূতপূর্ব অগ্রযাত্রার কাণ্ডারী হিসেবে জাতির ইতিহাসের পাতায় দ্যূতিময় আলো ছড়াচ্ছেন শেখ হাসিনা- যিনি উগ্রবাদীদের দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আন্তর্জাতিক মহলে বিশ্বনেতাদের প্রশংসা লাভ করেছেন। করোনার সময়ে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের জোগান দেয়া, তাদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এনে বিপুল পরিমাণ জনসাধারণকে রক্ষা করা ছিল- তার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সে কঠিন কাজটি তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সামলেছেন। দেশের কোথাও একজন মানুষও অনাহারে-অর্ধাহারে কাটায়নি। বাড়ি বাড়ি মানুষের খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজটি তার নিবিড় পর্যবেক্ষণে পরিচালিত হয়েছে। 

দরিদ্র, ভূমিহীন ও অসহায় মানুষদের জন্য ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত হাজার হাজার আশ্রয়হীন মানুষ তাদের নিজের ঘর, নিজের বসতভিটা পেয়েছে। এটি পৃথিবীতে একটি বিরল সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে আজকের বাংলাদেশ।

পিতার মতোই অসীম সাহসী, মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা মানুষের কাছে শুধু জনপ্রিয়ই নন, তিনি এক অনন্য ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের মানুষের এক অবিস্মরণীয় স্বপ্ন জয়ের নায়ক। তিনি জাতির পিতার স্বপ্নকে লালন করে সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখে গিয়েছিলেন- শোষণ-বৈষম্যহীন দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ ব্যবস্থার, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা, সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়ক নিয়ে চলেছেন কাঙ্ক্ষিত পথে।

করোনা পরবর্তীকালে যুদ্ধ এসে পৃথিবীর অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করোনাকালীন ৩১ দফা নির্দেশনা এবং বিভিন্ন প্রণোদনাসহ বেশ কিছু বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। শুধু তাই নয়, এশীয় অঞ্চলের অনেক দেশের চাইতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ভালভাবে ধরে রেখেছে।

রাষ্ট্রপ্রধানের চাইতে বরং মানবিক শেখ হাসিনার প্রবল মুখচ্ছবি জনসাধারণের মধ্যে প্রোথিত। শেখ হাসিনার সহজ-সরল জীবনে অভ্যস্ততা, সুকুমার বৃত্তির চর্চাও বিজ্ঞজনকে আকৃষ্ট করেছে। যে কারণে বিশিষ্ট লেখক সমরেশ মজুমদার তার সম্পর্কে বলেছেন, “কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যখন মা অথবা দিদি বোন ছাড়া অন্য কিছু মনে হয়না, তখন সেই দেশ নিজের দেশ হয়ে যায়।”

প্রধানমন্ত্রী একজন বিদ্যানুরাগী। প্রচুর বই পড়েন, লিখেন এবং সম্পাদনা করেন। প্রধানমন্ত্রী একজন ধমার্নুরাগী এবং ভালো রাঁধুনি। অবসরে নাতি-নাতনিদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলেন, দেশের খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা জোগাতে মাঠে দর্শক সারিতে বসে খেলা উপভোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি খেলোয়াড়দের পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং বর্তমানে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মোট ৪৯০টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

তথ্য প্রযুক্তিকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক বলেই মা বাবা পরিজন হারিয়েও তিনি দেশের মানুষের কাছে ছুটে এসেছেন।

১৯৭৬ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় ডাক বিভাগের অ্যারোগ্রাম খামে স্বামী প্রয়াত ওয়াজেদ মিয়ার সহকর্মী শহীদ হোসেনকে লেখা পত্রে এক জায়গায় শেখ হাসিনা লিখেছিলেন, “কিছু ভালো লাগেনা, কবে যে দেশে যাব জানিনা। বিদেশ আর ভালো লাগে না। দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি ফিরতে পারি।”

বাংলাদেশের পলিমাটিতে মানুষ হওয়া শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন সাফল্যের স্বর্ণচূড়ায়। একজন মমতাময়ী মায়ের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি চিন্তায় দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এটিই তার ধ্যান-জ্ঞান। এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বারে বারে এদেশে প্রয়োজন, এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতৃত্বের বিকল্প নেই। জন্মদিনের শুভক্ষণে আমাদের প্রার্থনা আপনি দীর্ঘজীবী হোন এবং সুস্থ থাকুন। আলোকের ঝরনাধারায় উদ্ভাসিত হউক আপনার জীবন। 

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।