ইমরান খান: রাজনীতির খেলায় হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায়

অনেক নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে পার্লামেন্টে হওয়া আস্থাভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্বের পাট চুকাতে হল ইমরান খানকে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2022, 09:13 AM
Updated : 10 April 2022, 10:13 AM

আরও একবার মেয়াদ শেষ করতে না পারা এক প্রধানমন্ত্রীকে দেখল দেশটি, বছর চারেক আগে যিনি ‘দুর্নীতিমুক্ত নয়া পাকিস্তানের’ স্বপ্ন দেখিয়ে মসনদে বসেছিলেন; তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের শীর্ষনেতা সেই ইমরানকে রোববার রাজনীতির খেলায় হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, সদ্য ক্ষমতা হারানো তার সরকারকে মনে রাখা হবে মূলত দেশের অর্থনীতির অবস্থা আরও সঙ্গীন করে তোলার জন্য; তারা যে একইসঙ্গে দেশটির রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর আস্থাও হারিয়ে ফেলেছিল, তার ইঙ্গিতও ছিল স্পষ্ট।

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান ঘাটতি আর নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া দুর্নীতি নির্মূলের প্রতিশ্রুতি ইমরান রাখতে পারছেন না এমন ধারণায় তাকে ঘিরে অনেক পাকিস্তানির ঘোর সাম্প্রতিক সময়ে কেটে যাচ্ছিল। ক্ষমতাসীন জোটে ভাঙনে অনেকের তা-ই মনে হয়েছে।

ক্ষমতা হারালেও ইমরান খুব দ্রুত রাজনীতির মাঠ থেকে হারিয়ে যাবেন বলে মনে হচ্ছে না।

সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে আইনপ্রণেতাদের আস্থাভোটে অংশ নেওয়ার আদেশ দেওয়ার পর ইমরানের এক সহযোগী উচ্চ আদালতের এ পদক্ষেপকে ‘বিচারিক অভ্যুত্থান’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। আর ইমরান বলেছিলেন, তিনি ‘শেষ বল’ পর্যন্ত লড়বেন।

৬৯ বছর বয়সী এ পিটিআই নেতা যুক্ত হলেন পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সেই দীর্ঘ তালিকায়, যারা তাদের মেয়াদ শেষ করতে পারেনি।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি; ইমরান যুক্ত হওয়ায় দলটি ভারী হলেও এক জায়গায় তার সমকক্ষ আর কেউ নেই; এর আগে দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রীকেই আস্থাভোটে হেরে গদি ছাড়তে হয়নি।

পাকিস্তানকে ১৯৯২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ইমরান ২০১৮ সালে দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধ, বিশ্বের কাছে শ্রদ্ধা পাওয়ার মতো দেশ গড়ার স্বপ্ন হাজির করে বিপুল সংখ্যক মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন।

কিন্তু তুখোড় জাতীয়তাবাদী হিসেবে খ্যাতি আর ক্যারিশমা তাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে যথেষ্ট হল না।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর ছায়ায় থাকা নিয়ে একসময় প্রচুর সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছিল ইমরানকে; কিন্তু পিটিআই নেতার ক্ষমতাচ্যুতির পর এখন তার সঙ্গে সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সম্পর্ক খারাপ হওয়ার প্রসঙ্গই আলোচনায় বেশি আসছে।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে ব্যাপক ক্ষমতাশালী সেনাবাহিনী দেশটির ইতিহাসের প্রায় অর্ধেককাল নিজেরাই শাসন করেছে; দেশটির বড় বড় অনেক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানও তাদেরই নিয়ন্ত্রণে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বারবারই রাজনীতিতে তারা যে ‘হস্তক্ষেপ’ করে না তা বলতে হচ্ছিল।

গত মাসে এক সমাবেশে ইমরান সেনাবাহিনীর এই ‘নিরপেক্ষ’ থাকার ভানের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

বলেছিলেন, “কেবল পশুরাই নিরপেক্ষ থাকতে পারে।”

“তাদেরকে ইমরানের সমর্থক হিসেবে দেখা হোক এমনটা চায়নি সেনাবাহিনী; তার ব্যর্থতার জন্য তাদেরকেও দায়ী করা হোক, সেটাও চায়নি,” সেনাবাহিনী আর ইমরানের সম্পর্ক নিয়ে বলছিলেন বিরোধীদলের নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাস।

প্রতিশ্রুতির খই

সুদর্শন ও ক্যারিশমাটিক ইমরান প্রথম বিশ্ববাসীর নজরে আসেন গত শতকের ৭০-র দশকের শুরুর দিকে, আগ্রাসী ফাস্ট বোলার হিসেবে।

একসময় তিনি বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার এবং ক্রিকেটপাগল পাকিস্তানের ‘নায়ক’ হয়ে ওঠেন। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে খেয়ালি একদল তারকা খেলোয়াড়ের অধিনায়ক ছিলেন তিনি, যাদের শিরোপা জেতার সম্ভাবনা নিয়ে তেমন উচ্চাশা ছিল না। ইমরান সেসময় তার দলের খেলোয়াড়দেরকে ‘কোণঠাসা বাঘের মতো লড়তে’ বলে তাঁতিয়ে দিয়েছিলেন।

ওই বছরই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নানান জনকল্যানমূলক কাজে নেমে পড়েন ইমরান, মায়ের নামে ক্যান্সার হাসপাতাল বানাতে তোলেন আড়াই কোটি ডলার। এরপর আসেন রাজনীতিতে। ১৯৯৬ সালে গড়েন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দল।

ইমরানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও পিটিআইয়ের শুরুটা ছিল বিবর্ণ। ইমরানের আসন ছাড়া ১৭ বছর তারা পার্লামেন্টের আর কোনো আসনই জিততে পারেনি।

২০০৭ সালে বিরোধীদের ওপর তখনকার সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফের দমনপীড়নের সময়ে গৃহবন্দি থাকা ইমরান দেওয়াল টপকে পালিয়েও গিয়েছিলেন।

তার চার বছর পর, ২০১১ সালে ইমরানের জনসমাবেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়; ব্যাপক দুর্নীতি, বিদ্যুৎ ঘাটতি, শিক্ষায় সংকট, বেকারত্ব সমস্যা জর্জরিত পাকিস্তানিরা পিটিআই নেতাকে নিয়ে আশায় বুক বাধতে শুরু করেন।

পরের বছরগুলোতে তার সমর্থন হু হু করে বাড়তে থাকে; পড়াশোনা জানা প্রবাসী অনেকে বিদেশের কাজ ছেড়ে পাকিস্তানে এসে ইমরানের সঙ্গে যোগ দেন। নির্বাচনী প্রচারণায় পপ গায়ক ও অভিনেতাদের উপস্থিতি তাকে তরুণদের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয় করে তোলে।

২০১৮ সালে এক জনসভায় ইমরান বলেছিলেন, তার লক্ষ্য হচ্ছে পাকিস্তানকে ‘অল্প ধনী আর ব্যাপক দরিদ্রের দেশ’ থেকে ‘বিশ্বের কাছে মানবিক, ন্যায়বিচার পরায়ন ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র’ হিসেবে হাজির করা।

দীর্ঘ সংগ্রামের পর ওই বছরই তিনি পাকিস্তানের মসনদে বসতে পেরেছিলেন; ঢুকে পড়েছিলেন সেই বিরল খেলোয়াড়দের তালিকায়, যারা রাজনীতির খেলায়ও বিজয়ী হয়েছেন।

পর্যবেক্ষকরা অবশ্য সেসময় তাকে সতর্কও করেছিলেন। বলেছিলেন, সমর্থকদের প্রত্যাশাকে উঁচুতে নিয়ে যাওয়া কথাবার্তাই একসময় তার সবচেয়ে বড় শত্রুতে পরিণত হবে।

প্লেবয় থেকে রাষ্ট্র-সংস্কারক

১৯৫২ সালে জন্ম নেওয়া ইমরান আহমেদ খান নিয়াজীর বাবা ছিলেন নির্মাণ প্রকৌশলী; পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে চার বোনের সঙ্গে বড় হওয়া ইমরান ছোটবেলায় নিজেকে গুটিয়ে রাখতেই পছন্দ করতেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি আর অর্থনীতিতে ডিগ্রি নেওয়া ইমরান ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্লেবয় ইমেজ গড়ে তুলেছিলেন।

সুদর্শন ইমরানের সঙ্গে অনেক অভিজাত, ধনী ও তারকা নারীদের প্রেমের গুঞ্জন ছিল। ‘ক্যারিশমাটিক ইমেজের’ জন্য নারীরা তার প্রতি দারুণভাবে আকৃষ্ট হতেন।

ক্রিকেট মাঠে অসাধারণ পারফমেন্স আর লন্ডনের নাইটক্লাবগুলিতে নানা কাণ্ডের কারণে হরহামেশা খবরেরও শিরোনাম হতেন ইমরান।

১৯৯৫ সালে ধনকুবের জেমস গোল্ডস্মিথের মেয়ে জেমিমাকে বিয়ে করেন তিনি; ৯ বছর পর তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ওই ঘরে ইমরানের দুটি ছেলে আছে।

দ্বিতীয়বার ইমরান বিয়ে করেছিলেন টিভি সাংবাদিক রেহাম নায়ারকে, সেটিও টেকেনি। 

ইমরানের বর্তমান স্ত্রী বুশরা বিবি একজন আধ্যাত্মিক নারী (পীর)। ত্রয়োদশ শতকের এক মাজারে দুজনের পরিচয় হয়; সুফিবাদের প্রতি ইমরান আকর্ষণের বিষয়টিও এই ঘটনায় বোঝা যায়।

ক্ষমতায় বসার পর ইমরান বলেছিলেন, তিনি পাকিস্তানকে একটি ‘কল্যাণ’ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে রাজনৈতিক প্রভাবের চেয়েও যোগ্যতাকে বেশি মূল্য দিয়েছিলেন তিনি, চেয়েছিলেন আমলাতন্ত্র ও সরকারি চাকরিতে নিয়োগে সংস্কার আনতেও।

নাগরিকরা যেন যে কোনো বিষয়ে সহজে অভিযোগ জানাতে পারে তার ব্যবস্থা করেছিলেন; একটি প্রদেশে দরিদ্রদের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পও চালু করেছিলেন; প্রকল্পটি ধীরে ধীরে সমগ্র দেশে কার্যকর করারও ইচ্ছা ছিল তার।

দশকের পর দশক ধরে দেশটিতে বন ধ্বংসের মচ্ছব চলেছিল, তার বিপরীতে পিটিআই সরকার এক হাজার কোটি গাছ লাগানোর একটি প্রকল্পও শুরু করেছিল।

পঙ্গু অর্থনীতিকে সবল করতে ইমরান তার বেশকিছু নীতিতে ‘ইউ টার্ন’ নিয়েছিলেন, পাকিস্তানের জন্য বাগিয়ে নিয়েছিলেন আইএমএফের ‘বেইল আউট’ও। কর আদায় বাড়াতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিছু লক্ষ্যও ঠিক করেছিলেন তিনি। 

কিন্তু তার দুর্নীতিবিরোধী অভিযান খুব একটা বড় সফলতা আনতে পারেনি। রাজনৈতিক বিরোধীদের টুটি চেপে ধরতে ইমরান এই অভিযানকে কাজে লাগিয়েছেন বলে অনেকে অভিযোগও করেন।

ইমরানের আমলেও পাকিস্তানের জেনারেলদের প্রভাব অক্ষুণ্ন ছিল; চাকরিতে থাকা বা অবসর নেওয়া অনেক সামরিক কর্মকর্তাকে পিটিআই বিভিন্ন বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বও দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে জীবনযাত্রার খরচ হু হু করে বাড়ছিল, খাদ্যদ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম কমে যাওয়াও ইমরানকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছিল।

নাটকীয় পতন 

সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরানের দহরম-মহরম কখনোই অনালোচিত ছিল না। বিরোধীরা প্রায়ই ইমরানকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষেত্রে সেনাপ্রধান বাজওয়া ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল ফায়েজ হামিদ মূল কারিগরের ভূমিকা রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করে আসছিলেন।

এক পর্যায়ে এ দুই সামরিক কর্মকর্তার মধ্যে দূরত্ব সুষ্টি হয়; ইমরান ফায়েজ হামিদের পক্ষ নেওয়ায় বাজওয়া তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন বলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আলোচনাও আছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ইমরানের সমর্থন পেয়ে ফায়েজ এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন যে আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদেরকে তিনিই যে পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান হতে যাচ্ছেন তা ঘটা করে বলেছিলেন বলেও শোনা যায়।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলছিলেন, রাজনীতিবিদদের ব্যবহার করা, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার মতো ‘নোংরা কাজগুলো’ ফায়েজ দেখভাল করলেও সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানের নেতা হিসেবে তাকে অনেকেই ‘যোগ্য’ মনে করতেন না।

গত বছরের অক্টোবরে বাজওয়া আইএসআই প্রধানের পদ থেকে ফায়েজকে সরিয়ে দিতে চাইলে ইমরান বেঁকে বসেন। তিনি ফায়েজকে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত রাখতে চাইছিলেন বলে অনেকের ধারণা; তবে শেষ পর্যন্ত বাজওয়ার চাওয়ার কাছে ইমরানকে হার মানতেই হয়।  

সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরানের এই বিরোধকে কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লাগে বিরোধীরা।

ইমরানের সঙ্গে বাজওয়ার দ্বৈরথ ফের প্রকাশ পায় রাশিয়া-ইউক্রেইন ইস্যুতেও। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে রাশিয়া যেদিন ইউক্রেইনে হামলা চালায়, ঘটনাচক্রে সেদিনই রাশিয়ায় নেমেছিলেন ইমরান।

পশ্চিমা অনেক দেশ ইউক্রেইনে হামলায় রাশিয়াকে দোষী বললেও, ইমরান সে পথে হাঁটেননি। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায়ও শামিল হননি।

কয়েকদিন আগে বাজওয়া বলেছেন, ইউক্রেইনে রাশিয়ার হামলা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। 

ততদিনে অবশ্য পার্লামেন্টে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তুলেও ফেলেছে বিরোধীরা। ইমরানের জোটে ভাঙনও সৃষ্টি হয়েছে, তার দলের অনেকেও তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেছেন।

আস্থাভোটে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন। ওই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবটি বাতিলও করে দিয়েছিল। তারপর ইমরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টও ভেঙে দেন।

এর বিরুদ্ধে বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে পাশার দান উল্টে যায়। চারদিনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্ট পুনর্বহাল করতে এবং সেখানে আস্থাভোট সম্পন্ন করতে বলে।

নির্ধারিত সময়ে পার্লামেন্ট শুরু হলেও অধিবেশন বারবার মুলতুবি, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ রিভিউয়ের চেষ্টায় শনিবার একের পর এক নাটকীয় পরিস্থিতির অবতারণা ঘটে। স্পিকারের পদত্যাগের পর মধ্যরাতে আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হয়, যাতে হার মানতে হয় পিটিআই প্রধানের।

এই হারের পর তিনি ‘কোনঠাসা বাঘের মতো’ লড়তে সক্ষম হবেন কিনা, সময়ই তার উত্তর দেবে।