পুলিশ জনায়, ৩৮ বছরের ওই ব্লগার গালওয়ান সীমান্তে হওয়া সংঘর্ষ নিয়ে খুবই ‘নোংরাভাবে সত্যকে বিকৃত করেছেন’।
চায়না ডেইলি তে মঙ্গলবার এ গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ পায় বলে জানায় বিবিসি।
চায়না ডেইলি-র খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম কিউ। তাকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবো তে তার প্রায় ২৫ লাখ অনুসারী আছে।
মাইক্রোব্লগিং সাইট উইবো কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে এক বছরের জন্য কিউর একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়।
ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ‘আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ’ গত কয়েক দিনে কিউ কে নিয়ে চীনে অন্তত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
গত বছর জুনে হিমালয় অঞ্চলের বিতর্কিত গালওয়ান ভ্যালিতে চীন ও ভারতের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াই ভয়াবহ সংঘর্ষে ভারতের অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়। ওই সময় চীন তাদের পক্ষের সেনা হতাহত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও কতজন সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
লাদাখে চীন ও ভারতের বিতর্কিত সীমান্তে ৪৫ বছরের মধ্যে সেটিই ছিল প্রথম প্রাণহানির ঘটনা।
চীনে ২০১৮ সালে একটি আইন পাস করা হয় যেখানে ‘দেশের বীর ও শহীদদের নামে অপমানজনক মন্তব্য করা’ নিষিদ্ধ এবং আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইনের আওতায় দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে এই আইনের আওতায় এখনই কোনো ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা যাবে না বলেও জানায় চায়না ডেইলি। কারণ, আইনটির সংশোধনী এখনো কার্যকর হয়নি। আগামী মাস থেকে সংশোধিত আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
চায়না ডেইলির একটি কলামে বলা হয়, ‘‘আটক ব্লগার যদি এই কাজটি আর মাত্র দশদিন পরে করতেন, তাহলে তিনিই হতেন এই আইনের আওতায় সাজাপ্রাপ্ত প্রথম ব্যক্তি। এটা খুবই দুঃখজনক।”
পুলিশের দাবি, ব্লগার কিউ আটক হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেছেন, তিনি ‘ইন্টারনেটে লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই অবৈধ আচরণ করেছেন, উইবোতে তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়েছেন এবং যেসব বীর সেনা সীমান্ত রক্ষা করছিল তাদের নামে কলঙ্ক রটিয়েছেন’।
তাকে ‘বিবাদ ও সমস্যা তৈরিতে প্ররোচনা দেওয়ার’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
চীন গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের চারজন সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে।