দুই সপ্তাহ আগে সংকটজনক অবস্থায় দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের ওই তরুণী। ২ সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তার মৃত্যু হয় মঙ্গলবার সকালে।
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে নিজ গ্রামেই গত ১৪ সেপ্টেম্বরে একটি মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষিত হয়েছিলেন ১৯ বছরের এই তরুণী। তাকে মারাত্মকভাবে জখমও করা হয়। তার দেহের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল, জিহ্বাও কেটে ফেলা হয়েছিল।
অভিযুক্ত চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিবিসি জানায়, তরুণীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভারতজুড়ে ন্যায়বিচারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সঞ্চার হয়েছে ক্ষোভ| হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ করেছে বহু মানুষ।
নিগৃহীতার ভাই বিবিসি হিন্দি-তে অভিযোগ করে বলেছেন, ঘটনার পর প্রথম ১০ দিনে পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি। তার বোনকে মৃত্যুমুখে ফেলে রাখা হয়েছিল। সে ১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছে।
নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে জানান, এই অপরাধের হোতারা সবসময়ই ওই এলাকার দলিত নারীদের হয়রানি করত।
উত্তর প্রদেশের বিরোধী দলগুলো দলিত নারীর ওপর এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।
রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও দলিত রাজনীতিবিদ মায়াবতী মঙ্গলবার এক টুইটে লিখেছেন, “সরকারের উচিত নিগৃহীতার পরিবারকে যথাসম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া এবং দ্রুত-বিচার আদালতের বিচারে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা।”
টুইটারে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতে দলিত তরুণীর মৃত্যুর এই ঘটনা। অনেকেই তাকে বিস্মৃত হয়ে যাওয়া সেই ‘নির্ভয়া’ আখ্যা দিচ্ছেন।
২০১২ সালে দিল্লির চলন্ত বাসে যে প্যারামেডিক্যাল শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর গোটা ভারতজুড়ে তোলপাড় হয়েছিল।
এর জেরেই ভারতে সংশোধন করা হয়েছিল ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন। তবে তারপরও ভারতে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, অপরাধ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।