শনিবার উপশহরটি আকাশ পঙ্গপালে ছেয়ে যায়, বাসিন্দাদের দরজা-জানালা বন্ধ রেখে থালাবাসন বাজিয়ে পঙ্গপাল তাড়ানোর পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ।
পঙ্গপালের কারণে গুরুগ্রামের কাছ ঘেঁষা দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় পাইলটদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অংশীদার এএনআই জানিয়েছে।
গুরুগ্রামে এর আগে কখনো পঙ্গপালের আক্রমণ হয়নি। পঙ্গপালের উপদ্রব মূলত পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য গুজরাট ও রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল।
বহু লোক টুইটারে পঙ্গপালের ছবি পোস্ট করেছেন। এই পতঙ্গের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে না আনায় তাদের অনেকে সরকারের সমালোচনাও করেছেন।
এই টুইটে কৃষি বিশেষজ্ঞ দেবিন্দের শর্মা লিখেছেন, “পঙ্গপালরাও জানে নয়া দিল্লিতে পৌঁছানো না পর্যন্ত তারা ব্রেকিং নিউজ হতে পারবে না!”
ভারতের মধ্যাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত সাতটি জনবহুল রাজ্য পঙ্গপালের আক্রমণের শিকার হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে মরু পতঙ্গের সবচেয়ে মারাত্মক এ আক্রমণ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ কীটনাশক ছিটানোর জন্য বিশেষ ধরনের গাড়ি ও দমকলের গাড়ি ব্যবহার করছে।
দেশটির কিছু প্রধান খামার অঞ্চলে পঙ্গপালের উপদ্রুব রুখতে হেলিকপ্টার থেকেও কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। তবে এক ফসল তোলার পর আরেক ফসল বোনার মধ্যবর্তী সময়টিতে পঙ্গপাল হানা দেয়ায় ক্ষতি এখনও উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে যায়নি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।