বুধবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে তিনি নিহত হন। এদিন সকাল থেকেই নাইকু যে বাড়িতে লুকিয়েছিলেন সেটিকে ঘিরে ফেলে প্রবল গুলিবর্ষণ করে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলওয়ামার বেইগপুরায় মঙ্গলবার রাত থেকেই চলছিল গুলির লড়াই।
শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুরের দিকে বিস্ফোরণে বাড়িটি উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা, সিআরপি এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। পরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা দুই মৃতদেহের মধ্যে একটি রিয়াজ নাইকুর বলে শনাক্ত করে যৌথ বাহিনী।
নাইকুর সঙ্গীও এ অভিযানে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরের মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানুষের চলাফেরার ওপরেও বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে।
২০১৬ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর হিজবুল মুজাহিদিনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রিয়াজ নাইকু। দলে স্থানীয়দের নিযুক্ত করার কাজ করছিলেন তিনি।
দীর্ঘ দিন ধরেই নাইকু জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১২ লাখ টাকা।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে জঙ্গি গতিবিধির খবরে বেইগপুরা এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। সকালে পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় হিজবুল মুজাহিদিনের এক শীর্ষ জঙ্গিকে ঘিরে রেখেছে তারা।
পরে খবর মেলে, ওই জঙ্গি আসলে জম্মু-কাশ্মীরের হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার রিয়াজ নাইকু। এরপর ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলা এলাকা ছোট করে আনা হলে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন নাইকু। তারপরই বিস্ফোরণে উড়ানো হয় বাড়িটি।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আরেকটি অভিযানে পামপোরে এলাকার শারশালি গ্রামে নিহত হয় আরো দুই জঙ্গি।
চলতি সপ্তাহে দুই দফা জঙ্গি হামলায় সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তাসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ৮ সদস্য নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার রাত থেকে কাশ্মীরজুড়ে তিনটি আলাদা অভিযান শুরু হয়।
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যেও কাশ্মীরে গত এক মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে।