কলকাতায় থাই যুবতীর মৃত্যু, ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক

ভারতে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় থাইল্যান্ডের ৩২ বছর বয়সী এক যুবতীর শ্বাসকষ্টে মৃত্যুকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2020, 02:13 PM
Updated : 28 Jan 2020, 06:58 PM

অন্যান্য রাজ্যেও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চীনে দাপিয়ে বেড়ানো প্রাণঘাতী ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সন্দেহে তিন জনকে মঙ্গলবার ভর্তি করানো হয়েছে দিল্লিরি একটি হাসপাতালে। তিনজনেরই রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সদ্য চীন ঘুরে পুণেয় ফিরে আসা এক ভারতীয়কেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন ওই ভাইরাসে। এছাড়াও মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আরও ৫ জন এবং কেরালায় ৭ জনকে একই সন্দেহে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে।

চিনের এক তরুণী করোনাভাইরাস আক্রান্ত কি না তা নিয়ে গত রোববার প্রায় ১৫ ঘণ্টা টানাপড়েন চলে কলকাতায়। সোমবার সন্ধ্যায় তাতে নতুন মাত্রা যোগ করে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে থাইল্যান্ডের ওই যুবতীর মৃত্যু। করোনাভাইরাসের মতো সব উপসর্গ নিয়েই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চলছিল পরীক্ষা-নিরীক্ষাও।

হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল, ২১ জানুয়ারি রাত ১১ টা নাগাদ ওই যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পেটের সমস্যা, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, এবং জ্বর ছিল তার। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গত নভেম্বরের শেষদিকে থাইল্যান্ড থেকে ভারতে যান ওই যুবতী। তার আগে নেপালেও গিয়েছিলেন তিনি। ১৮ জানুয়ারি থেকে ওই যুবতী অসুস্থ হতে শুরু করেছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২১ জানুয়ারি তিনি হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে ভর্তি হন।

তার মৃত্যর খবর ভারতে অবস্থিত থাই কনসু্যলেটকে অবহিত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মৃতের সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্টও চেয়েছিলেন। নোভেল করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো হওয়ার কারণে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য চিকিৎসকরা বলেছেন, থাইল্যান্ডের মৃত যুবতী ওই ভাইরাসে আক্রান্ত নন বলেই তারা মনে করছেন। পরীক্ষাধীনে থাকা চীনা তরুণীর দেহেও করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাঞ্জাবেও। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগা মোহালির এক ব্যাঙ্ককর্মী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আতঙ্ক বাড়তে থাকায় সোমবার থেকেই রাজ্যে রাজ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দল পাঠাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।