পাকিস্তানে গৃহকর্মী নির্যাতনকারী বিচারক দম্পতির সাজা কমল

পাকিস্তানে ১০ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে কারাদণ্ড পাওয়া বিচারক ও তার স্ত্রীর সাজা কমিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2020, 03:40 PM
Updated : 10 Jan 2020, 03:40 PM

ইসলামাবাদের ওই বিচারক রাজা খুররম আলি এবং তার স্ত্রী মাহিন জাফর দুইজনই তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।

২০১৬ সালে ১০ বছরের সেই মেয়েটিকে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়ার পর আদালত খুররম দম্পতিকে ওই সাজা দেয়।

শিশু গৃহকর্মী নির্যতনের এ ঘটনায় পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। নির্যাতিত মেয়েটির ছবিও ভাইরাল হয়েছে।

এ পরিস্থিতির মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট এখন বিচারক দম্পতির সাজা কমিয়ে একবছর করেছে। এর মানে তারা খুব শিগগিরই মুক্তি পেয়ে যাবে। কৌঁসুলিরা সাজা কমানোর এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করছেন।

বিবিসি জানায়, বিচারক ও তার স্ত্রী ২০১৮ সালের এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাদেরকে প্রাথমিকভাবে  ১২ মাসের জেল দেওয়া হয়েছিল। এরপর ওইবছরই জুনে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কৌঁসুলিদের আপিলের ভিত্তিতে কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে তিনবছর করে দেয়।

সে সময় আদালতের বিচারকরা বলেছিলেন, “বিচারক দম্পতি কোনো সহানুভূতি পেতে পারেন না, কারণ তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এবং জেনে বুঝে একজন নিরীহ, অসহায় শিশুকে মারাত্মকভাবে নির্যাতন করেছেন।”

মেয়েটি ইসলামাবাদের বিচারক রাজা খুররম আলি খানের বাসায় গত দুবছর যাবত কাজ করেছে।মেয়েটির নাম তায়াবা বলে জানানো হয়েছে খবরে। তার ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গতমাসে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। মেয়েটির হাতে, পায়ে পোড়া দাগসহ শরীরে মারাত্মক জখমও দেখা গেছে।