কাশ্মীরের ফারুক আবদুল্লাহর আটকের মেয়াদ ৩ মাস বাড়লো

কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ও ভারতের পার্লামেন্ট সদস্য ফারুক আবদুল্লাহর আটকের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2019, 02:04 PM
Updated : 14 Dec 2019, 02:05 PM

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণা দেয়, ওই দিন থেকেই জননিরাপত্তা আইনে জম্মু কাশ্মীরের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ৮৩ বছর বয়সী ফারুক আবদুল্লাহকে অন্তরীণ করা হয়।

শ্রীনগরের নিজ বাড়িতে তাকে গৃহবন্দি করে বাড়িটিকে সাব-জেল ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

কাশ্মীরের জননিরাপত্তা আইনের অধীনে যে কোনো ব্যক্তিকে বিনাবিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

এই প্রথম ভারতের শীর্ষ একজন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে, যিনি একাধারে লোকসভার সদস্য ও একটি রাজ্যের তিন মেয়াদের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, এ আইনটি ব্যবহার করা হলো। এই আইনটি সাধারণত সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর নিক্ষেপকারীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের আটক রাখতে ব্যবহার করা হয়।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কাঠ পাচার রুখতে ১৯৭৮ সালে আইনটি প্রবর্তন করেছিলেন ফারুক আবদুল্লাহর বাবা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ।      

চলতি মাসের প্রথমদিকে এক চিঠিতে ফারুক আবদুল্লাহ তাকে পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সমলোচনা করেন।ভারতের লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুক্রবার শেষ হয়।

ওই চিঠিতে আবদুল্লাহ বলেন, “পার্লামেন্টের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য ও একটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে ব্যবহারের রীতি এটা নয়। আমরা অপরাধী না।” 

ফারুক আবদুল্লাহর আটকের মেয়াদ বাড়ানোর সমালোচনা করে একে ‘অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ফারুক আবদুল্লাহর পাশাপাশি তার ছেলে ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, জম্মু-কাশ্মীরের আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপির নেত্রী মেহবুবা মুফতি ও কয়েকশত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।